ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে? গণপূর্তে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সিন্ডিকেট গড়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’ বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক

কঙ্গোতে রাতভর সন্ত্রাসীদের হামলা, নিহত অন্তত ২২

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) সন্ত্রাসীদের হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি এবং নর্থ কিভু প্রদেশজুড়ে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একের পর এক হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

আফ্রিকার এই দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং শনিবারের ওই প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।

রয়টার্স বলছে, শনিবার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশের বেশ কয়েকটি গ্রামে একযোগে চালানো হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এবং সুশীল সমাজের নেতারা কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব কঙ্গো বা কোডেকো নামে পরিচিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন।

হামলার শিকার মাহাগি অঞ্চলের কর্মকর্তা কর্নেল জ্যাক ডিসানোয়া টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থানের জন্য অসংখ্য আবেদন সত্ত্বেও… কোডেকো মিলিশিয়া দুর্বলদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।’

এদিকে পার্শ্ববর্তী লুবেরো অঞ্চলের প্রশাসক কর্নেল অ্যালাইন কিওয়েওয়া জানিয়েছেন, নর্থ কিভু প্রদেশের মাউন্ট কিয়াভিরিমুর এনগুলি গ্রামে জঙ্গিরা আরও ১০ জনকে হত্যা করেছে। এসময় তারা আরও তিনজনকে অপহরণ করে।

এই হামলার জন্য অ্যালায়িড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসকে (এডিএফ) দায়ী করেছেন কিওয়েওয়া। তিনি বলেছেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক পরিস্থিতি। তারা ছুরি ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের হত্যা করেছে।’

উল্লেখ্য, ব্যাপক মিলিশিয়া সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে কঙ্গোর সরকার ২০২১ সালে নর্থ কিভু এবং ইতুরিতে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহী তৎপরতা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে?

কঙ্গোতে রাতভর সন্ত্রাসীদের হামলা, নিহত অন্তত ২২

আপডেট সময় ১২:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) সন্ত্রাসীদের হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি এবং নর্থ কিভু প্রদেশজুড়ে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একের পর এক হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

আফ্রিকার এই দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং শনিবারের ওই প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।

রয়টার্স বলছে, শনিবার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর ইতুরি প্রদেশের বেশ কয়েকটি গ্রামে একযোগে চালানো হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা এবং সুশীল সমাজের নেতারা কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব কঙ্গো বা কোডেকো নামে পরিচিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন।

হামলার শিকার মাহাগি অঞ্চলের কর্মকর্তা কর্নেল জ্যাক ডিসানোয়া টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থানের জন্য অসংখ্য আবেদন সত্ত্বেও… কোডেকো মিলিশিয়া দুর্বলদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।’

এদিকে পার্শ্ববর্তী লুবেরো অঞ্চলের প্রশাসক কর্নেল অ্যালাইন কিওয়েওয়া জানিয়েছেন, নর্থ কিভু প্রদেশের মাউন্ট কিয়াভিরিমুর এনগুলি গ্রামে জঙ্গিরা আরও ১০ জনকে হত্যা করেছে। এসময় তারা আরও তিনজনকে অপহরণ করে।

এই হামলার জন্য অ্যালায়িড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসকে (এডিএফ) দায়ী করেছেন কিওয়েওয়া। তিনি বলেছেন, ‘এটি সত্যিই দুঃখজনক পরিস্থিতি। তারা ছুরি ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের হত্যা করেছে।’

উল্লেখ্য, ব্যাপক মিলিশিয়া সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে কঙ্গোর সরকার ২০২১ সালে নর্থ কিভু এবং ইতুরিতে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহী তৎপরতা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।