ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে? গণপূর্তে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সিন্ডিকেট গড়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’ বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক

ডলার সংকট : পাকিস্তানে হুমকির মুখে বিমান চলাচল

ডলার সংকটে ভোগা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে হুমকির মুখে পড়েছে বিমান চলাচল। পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা মেটাতে পারছে না দেশটি।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) সম্প্রতি জানিয়েছে, পাকিস্তানে তাদের জন্য বিমান সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ ইসলামাবাদের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ২৯০ মিলিয়ন ডলার আটকে আছে। এ অর্থ ডলারে পরিশোধ করা হয়।

দ্রুত কমতে থাকা পাকিস্তানের বৈদশিক রিজার্ভের পরিমাণ এখন ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। রিজার্ভ কমে যাওয়ায় পণ্য আমদানিসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন কার্যক্রম থমকে গেছে।

পাকিস্তান বেসামরিক পরিবহন সংস্থা জানিয়েছে, তারা এয়ারলাইন্সগুলোকে যথাসময়ে পাওনা পরিশোধ করার চেষ্টা করছে এবং এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

আইএটিএ বিশ্বের ৩০০টিরও বেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্ব করে (বিশ্বের পুরো এয়ার ট্রাফিকের ৮৩ শতাংশ)। এ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্তই পাকিস্তানে এয়ারলাইন্সগুলোর ২৯০ মিলিয়ন ডলার আটকে গেছে। বৈশ্বিক এ বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা ২২৫ মিলিয়ন ডলার আটকে দেয় পাকিস্তান।

আইএটিএ-এর এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের প্রধান ফিলিপ গোহ বলেছেন, ‘এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের পাওনা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিছু এয়ারলাইন্সের ২০২২ সালের বিক্রিত অর্থও আটকে আছে।‘

তিনি জানিয়েছেন, যদি পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকে তাহলে এয়ারলাইন্সগুলো তাদের বিমান অন্য কোথাও ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

গত মাসে ভার্জিন আটলান্টিক ঘোষণা দেয়, পাকিস্তানে নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে তারা। যদিও এয়ারলাইন্সটি জানিয়েছিল, নিজেদের নতুন করে গড়ে তোলার অংশের পরিকল্পনা এটি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইন্স।

বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের মার্চে পাকিস্তানে যে ক’টি বিমান চলাচল করার কথা রয়েছে, ২০১৯ সালের মার্চ মাসের তুলনায় এটি অনেক কম।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে?

ডলার সংকট : পাকিস্তানে হুমকির মুখে বিমান চলাচল

আপডেট সময় ০১:০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

ডলার সংকটে ভোগা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে হুমকির মুখে পড়েছে বিমান চলাচল। পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা মেটাতে পারছে না দেশটি।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) সম্প্রতি জানিয়েছে, পাকিস্তানে তাদের জন্য বিমান সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ ইসলামাবাদের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ২৯০ মিলিয়ন ডলার আটকে আছে। এ অর্থ ডলারে পরিশোধ করা হয়।

দ্রুত কমতে থাকা পাকিস্তানের বৈদশিক রিজার্ভের পরিমাণ এখন ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। রিজার্ভ কমে যাওয়ায় পণ্য আমদানিসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন কার্যক্রম থমকে গেছে।

পাকিস্তান বেসামরিক পরিবহন সংস্থা জানিয়েছে, তারা এয়ারলাইন্সগুলোকে যথাসময়ে পাওনা পরিশোধ করার চেষ্টা করছে এবং এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

আইএটিএ বিশ্বের ৩০০টিরও বেশি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্ব করে (বিশ্বের পুরো এয়ার ট্রাফিকের ৮৩ শতাংশ)। এ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্তই পাকিস্তানে এয়ারলাইন্সগুলোর ২৯০ মিলিয়ন ডলার আটকে গেছে। বৈশ্বিক এ বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা ২২৫ মিলিয়ন ডলার আটকে দেয় পাকিস্তান।

আইএটিএ-এর এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলের প্রধান ফিলিপ গোহ বলেছেন, ‘এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের পাওনা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিছু এয়ারলাইন্সের ২০২২ সালের বিক্রিত অর্থও আটকে আছে।‘

তিনি জানিয়েছেন, যদি পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকে তাহলে এয়ারলাইন্সগুলো তাদের বিমান অন্য কোথাও ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

গত মাসে ভার্জিন আটলান্টিক ঘোষণা দেয়, পাকিস্তানে নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে তারা। যদিও এয়ারলাইন্সটি জানিয়েছিল, নিজেদের নতুন করে গড়ে তোলার অংশের পরিকল্পনা এটি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইন্স।

বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের মার্চে পাকিস্তানে যে ক’টি বিমান চলাচল করার কথা রয়েছে, ২০১৯ সালের মার্চ মাসের তুলনায় এটি অনেক কম।