ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মমতা থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা?

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের সাগরদিঘি আসনে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটেছে। সেই বিপর্যয়ের পর শাসকদলের অন্দরে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোট ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাগরদিঘিতে ভরাডুবির পর সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ মুসলিম নেতাকে নিয়ে বৈঠকের পর বিশেষ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু হঠাৎ করে কেন মমতা সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোট ধরে রাখা নিয়ে কমিটি গঠন করলেন? পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে, সোমবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের পর সংখ্যালঘু পাঁচ মুসলিম নেতাকে নিজ কক্ষে ডেকে পাঠান মমতা। রাজ্যের গ্রন্থাগারবিষয়ক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন তার কক্ষে যান।

সূত্র বলছে, বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কমিটিকে সাগরদিঘি ভোটের বিপর্যয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। পাশাপাশি রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পাঁচ মন্ত্রীকে দ্রুত কাজে নামার পরামর্শ দেন তিনি।

নতুন ওই কমিটিকে প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য রাজ্যের দুই মন্ত্রীকেও দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। তারা হলেন, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কমিটিতে রাখা হয়নি জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে। জায়গা পেয়েছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির।

গত বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। এতে দেখা যায়, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে ২২ হাজার ৯৮০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভরাডুবির পর রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা তৃণমূল থেকে আস্থা ফিরিয়ে নিচ্ছেন নিকা সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সাগরদিঘি আসনের ৬৮ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

মমতা থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা?

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের সাগরদিঘি আসনে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটেছে। সেই বিপর্যয়ের পর শাসকদলের অন্দরে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোট ধরে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সাগরদিঘিতে ভরাডুবির পর সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ মুসলিম নেতাকে নিয়ে বৈঠকের পর বিশেষ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু হঠাৎ করে কেন মমতা সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোট ধরে রাখা নিয়ে কমিটি গঠন করলেন? পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে, সোমবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের পর সংখ্যালঘু পাঁচ মুসলিম নেতাকে নিজ কক্ষে ডেকে পাঠান মমতা। রাজ্যের গ্রন্থাগারবিষয়ক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী ও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন তার কক্ষে যান।

সূত্র বলছে, বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কমিটিকে সাগরদিঘি ভোটের বিপর্যয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। পাশাপাশি রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে পাঁচ মন্ত্রীকে দ্রুত কাজে নামার পরামর্শ দেন তিনি।

নতুন ওই কমিটিকে প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য রাজ্যের দুই মন্ত্রীকেও দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। তারা হলেন, ফিরহাদ হাকিম ও শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কমিটিতে রাখা হয়নি জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে। জায়গা পেয়েছেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির।

গত বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। এতে দেখা যায়, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের কাছে ২২ হাজার ৯৮০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভরাডুবির পর রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা তৃণমূল থেকে আস্থা ফিরিয়ে নিচ্ছেন নিকা সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সাগরদিঘি আসনের ৬৮ শতাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।