ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকাদের কঠোরভাবে দমন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে মানবাধিকার কমিশন।
‘নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে’ ঘটনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক (মিডিয়া) ফারহানা সাঈদ সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিন চৌধুরী।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে, একজন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব জনগণের জান-মাল ও সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সেটা না করে উল্টো নৈতিক অধঃপতন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ করা ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কমিশন মনে করে, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা সকল অপরাধীকেই কঠোরভাবে দমন করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, ইউপি সদস্য রবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য কমিশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানায়।