ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা বিএসএফের, অতঃপর নিলামে উঠেছে মোংলা বন্দরে আটকে থাকা ৭০টি নামি দামি গাড়ি মাদারীপুর আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে হাতবোমায় যুবক নিহত-১ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকতি করতে এসে গৃহ বধুকে হত্যা গাজীপুরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা, নারীসহ আহত ৪ জন উত্তর মানিক নগরে কাটা হলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চিনাইল পাগলের মেলায় মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ তাবলীগের তা’লীম বন্ধ, ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ চৌদ্দগ্রাম সেনা ক্যাম্পের সাহসী পদক্ষেপ: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে ২৩ বীর বিষবৃক্ষ তামাক চাষের কবলে লালমনিরহাটের ফসলি জমি

রূপপুরের পণ্য খালাস না করেই ভারত থেকে ফিরে গেছে রুশ জাহাজ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ উরসা মেজরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থার মধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল জাহাজটি। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। সেজন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস না করেই ভারতের জলসীমা ছেড়ে গেছে রুশ জাহাজটি।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাহাজটি ভারত ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্র।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রুশ জাহাজটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের অনুমতি পায়নি। যার জন্য জাহাজটি সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ভারত ছেড়ে গেছে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, উরসা মেজরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য ভারতে খালাস না করতে পারার তথ্য বাংলাদেশকে জানানো হয়। সোমবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রং ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসছে—এমন তথ্য নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধ কর হয়। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেও ব্যর্থ হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা বিএসএফের, অতঃপর

রূপপুরের পণ্য খালাস না করেই ভারত থেকে ফিরে গেছে রুশ জাহাজ

আপডেট সময় ০২:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজ উরসা মেজরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এমন অবস্থার মধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল জাহাজটি। কিন্তু পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি নয়াদিল্লির অনুমতি পেতে ব্যর্থ হয়। সেজন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস না করেই ভারতের জলসীমা ছেড়ে গেছে রুশ জাহাজটি।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাহাজটি ভারত ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্র।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে রুশ জাহাজটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের অনুমতি পায়নি। যার জন্য জাহাজটি সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ভারত ছেড়ে গেছে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, উরসা মেজরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য ভারতে খালাস না করতে পারার তথ্য বাংলাদেশকে জানানো হয়। সোমবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, অন্য জাহাজে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

গত ২৪ ডিসেম্বর রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রং ও নাম বদল করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা রাশিয়ার একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে আসছে—এমন তথ্য নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিষেধ কর হয়। যদিও জাহাজটিকে বন্দরে পণ্য খালাসের অনুমতি দিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রাশিয়া। তবে জাহাজটি বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় জাহাজটি ভারতের যেকোনো বন্দরে পণ্য খালাস করে পরে তা অন্য জাহাজে করে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু জাহাজটি প্রায় দুই সপ্তাহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেও ব্যর্থ হয়।