ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্স মালিকের

ইয়েতি এয়ারলাইন্স যতটা বিখ্যাত ঠিক যেন ততটাই অভিশপ্ত। একের পর এক দুর্ঘটনায় এমনটাই যেন প্রকাশিত হচ্ছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) নেপালের পোখরা বিমান বন্দরে দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনের কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াড়ার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল প্লেন দুর্ঘটনায়। ১৬ বছর আগে ইয়েতির একটি প্লেনের কো-পাইলট ছিলেন তিনি। এবার জানা গেল, ইয়েতির মালিক আং শিরিং শেরপারও মৃত্যু হয়েছিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়।

এই শিল্পপতির হোটেল ও বেসরকারি বিমান পরিষেবার ব্যবসা ছিল। ২০১৯ সালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তেরথুম জেলায় পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয় তার হেলিকপ্টারটি। ওই প্লেনে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মালিক, পাইলটসহ মোট ৬ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে ছিলেন নেপালের তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী, তার সহকারী, বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং ডেপুটি সেক্রেটারি। দুর্ঘটনায় তাদের সবার মৃত্যু হয়।

এদিকে ২০০৬ সালের ২১ জুন এক প্লেন দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন অঞ্জু খাতিওয়াড়া। কাকতালীয়ভাবে সেটিও ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের প্লেন। ৯এল এইকিউ প্লেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৬ যাত্রী এবং ৪ ক্রু সদস্যের। অঞ্জুর স্বামী ছিলেন প্লেনটির কো-পাইলট।

জানা গেছে, নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ প্লেনটি আগে ছিল ভারতীয় সংস্থার। পরে থাইল্যান্ডের সংস্থার হাত ঘুরে চলে যায় নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাছে। এটিআর-৭২ প্লেনটি একসময় বিজয় মাল্যের কিংফিশার এয়ারলাইন্স ব্যবহার করত। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের সংস্থা প্লেনটি কিনে নেয়।

প্রসঙ্গত, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ প্লেনটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চার জন কেবিন ক্রু মিলিয়ে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় সবারই মৃত্যু হয়েছে। রোববার যাত্রীবাহী প্লেনটি পুরোনো পোখরা বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে সেতি নদীর অববাহিকায় পাহাড় ঘেরা বনভূমির মধ্যে ভেঙে পড়ে। সম্প্রতি চীনের সহযোগিতায় পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি গড়ে ওঠে। সপ্তাহ দুয়েক আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্স মালিকের

আপডেট সময় ০২:০০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

ইয়েতি এয়ারলাইন্স যতটা বিখ্যাত ঠিক যেন ততটাই অভিশপ্ত। একের পর এক দুর্ঘটনায় এমনটাই যেন প্রকাশিত হচ্ছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) নেপালের পোখরা বিমান বন্দরে দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনের কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াড়ার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল প্লেন দুর্ঘটনায়। ১৬ বছর আগে ইয়েতির একটি প্লেনের কো-পাইলট ছিলেন তিনি। এবার জানা গেল, ইয়েতির মালিক আং শিরিং শেরপারও মৃত্যু হয়েছিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়।

এই শিল্পপতির হোটেল ও বেসরকারি বিমান পরিষেবার ব্যবসা ছিল। ২০১৯ সালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তেরথুম জেলায় পাহাড়ে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয় তার হেলিকপ্টারটি। ওই প্লেনে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মালিক, পাইলটসহ মোট ৬ জন আরোহী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে ছিলেন নেপালের তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রী, তার সহকারী, বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং ডেপুটি সেক্রেটারি। দুর্ঘটনায় তাদের সবার মৃত্যু হয়।

এদিকে ২০০৬ সালের ২১ জুন এক প্লেন দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছিলেন অঞ্জু খাতিওয়াড়া। কাকতালীয়ভাবে সেটিও ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের প্লেন। ৯এল এইকিউ প্লেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৬ যাত্রী এবং ৪ ক্রু সদস্যের। অঞ্জুর স্বামী ছিলেন প্লেনটির কো-পাইলট।

জানা গেছে, নেপালের পোখরা বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ প্লেনটি আগে ছিল ভারতীয় সংস্থার। পরে থাইল্যান্ডের সংস্থার হাত ঘুরে চলে যায় নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাছে। এটিআর-৭২ প্লেনটি একসময় বিজয় মাল্যের কিংফিশার এয়ারলাইন্স ব্যবহার করত। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ডের সংস্থা প্লেনটি কিনে নেয়।

প্রসঙ্গত, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ প্লেনটিতে ৬৮ জন যাত্রী ও চার জন কেবিন ক্রু মিলিয়ে ৭২ জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় সবারই মৃত্যু হয়েছে। রোববার যাত্রীবাহী প্লেনটি পুরোনো পোখরা বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে সেতি নদীর অববাহিকায় পাহাড় ঘেরা বনভূমির মধ্যে ভেঙে পড়ে। সম্প্রতি চীনের সহযোগিতায় পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি গড়ে ওঠে। সপ্তাহ দুয়েক আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড বিমানবন্দরটির উদ্বোধন করেন।