ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

টাইম টু টাইম সাপোর্ট নেব, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোমেন

চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না বলে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাংকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মোমেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাং ঘণ্টাখানেকের জন্য ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ২টা ৭ মিনিটে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশল বিনিময়ের পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বৈঠকে করেন মোমেন-গ্যাং।

ড. মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আপনারা বিভিন্ন প্রজেক্টে আমাদের সাহায্য করেছেন— পদ্মা সেতুতে, মেট্রোরেলে। আপনারা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার।

তিনি বলেন, আমরা এক চায়নায় বিশ্বাস করি। এটা আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। সুতরাং আমরা আপনাদের (চীনকে) টাইম টু টাইম সাপোর্ট নেব।

২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকা সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনা প্রেসিডেন্টের ওই সফরে বেইজিং ঢাকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি করলেও সেগুলোর অনেকগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টি নতুন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি যখন ঢাকায় এসেছিলেন তখন অনেক চুক্তি করেছিলাম। অনেক টাকার এগ্রিমেন্ট কিন্তু সবগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

গ্যাং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, তিনি দাওয়াত দিয়েছেন যাওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আপনি অল্পসময়ের জন্য নয়, রেগুলার আসেন। তখন আমরা আমাদের একাধিক বিষয়ে আলাপ করতে পারব।

বৈঠকে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, করোনাকালে সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন মোমেন-গ্যাং। ঘণ্টাখানেকের যাত্রাবিরতি শেষে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিবাগত রাত ৩টার দিকে আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন ছিন গ্যাং। এসময় ড. মোমেন তাকে বিদায় জানান।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বেইজিং থেকে আফ্রিকা যাওয়ার পথে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য মধ্যরাতে ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করে। ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার পাঁচ দেশ সফরে যাচ্ছেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সদ্য শেষ হওয়া বছরের দুই দিন আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান গ্যাং। দায়িত্ব পাওয়ার পর আফ্রিকায় প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন গ্যাং।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

টাইম টু টাইম সাপোর্ট নেব, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোমেন

আপডেট সময় ১২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না বলে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাংকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মোমেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাং ঘণ্টাখানেকের জন্য ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ২টা ৭ মিনিটে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশল বিনিময়ের পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বৈঠকে করেন মোমেন-গ্যাং।

ড. মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আপনারা বিভিন্ন প্রজেক্টে আমাদের সাহায্য করেছেন— পদ্মা সেতুতে, মেট্রোরেলে। আপনারা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার।

তিনি বলেন, আমরা এক চায়নায় বিশ্বাস করি। এটা আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। সুতরাং আমরা আপনাদের (চীনকে) টাইম টু টাইম সাপোর্ট নেব।

২০১৬ সালের অক্টোবরে ঢাকা সফর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চীনা প্রেসিডেন্টের ওই সফরে বেইজিং ঢাকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি করলেও সেগুলোর অনেকগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টি নতুন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি যখন ঢাকায় এসেছিলেন তখন অনেক চুক্তি করেছিলাম। অনেক টাকার এগ্রিমেন্ট কিন্তু সবগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

গ্যাং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, তিনি দাওয়াত দিয়েছেন যাওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আপনি অল্পসময়ের জন্য নয়, রেগুলার আসেন। তখন আমরা আমাদের একাধিক বিষয়ে আলাপ করতে পারব।

বৈঠকে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, করোনাকালে সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন মোমেন-গ্যাং। ঘণ্টাখানেকের যাত্রাবিরতি শেষে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিবাগত রাত ৩টার দিকে আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন ছিন গ্যাং। এসময় ড. মোমেন তাকে বিদায় জানান।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বেইজিং থেকে আফ্রিকা যাওয়ার পথে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য মধ্যরাতে ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করে। ইথিওপিয়াসহ আফ্রিকার পাঁচ দেশ সফরে যাচ্ছেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সদ্য শেষ হওয়া বছরের দুই দিন আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান গ্যাং। দায়িত্ব পাওয়ার পর আফ্রিকায় প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন গ্যাং।