রাজধানীর বনানীতে স্পা ব্যবসায়ীদের বিষপাপে আচ্ছন্ন হতে চলেছে। ম্যাসাজ পার্লার ও স্পার আড়ালে অনৈতিক বাণিজ্য তথা দেহ ব্যবসার অন্যতম আখড়া হিসেবে পরিচিত বনানী তার আগের রুপে ফিরতে শুরু করেছে । শারীরিক অবসাদ স্পা ও বডি ম্যাসেজের আড়ালে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। স্পার অন্তরালে প্রতিনিয়ত নানামূখী অশ্লীলতায় অস্বাভাবিক বিবর্ণ হয়ে উঠছে ডিপ্লোম্যাটিক জোন বনানী।
সাম্প্রতিক সময়ে অশ্লীলতা নির্মূলে আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতা ও অভিযানের কারণে এসব ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে অন্য এলাকায় স্থানান্তর ও অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিলেও, আবার কিছু স্পা ব্যবসায়ী সাময়িক নিষ্ক্রিয়তা কাটিয়ে তাদের অনৈতিক ব্যবসা জাগ্রত করার চেষ্টা করছে।সরেজমিন তদন্ত করে খোঁজ মেলে কয়েকজন ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন স্পা সেন্টারগুলো এর মধ্যে রোড নং ৭ হাউজ নং ৮৪ বল্ক নং- H লিফটের ১০ এ ছোমিদ ম্যানেজার উসাখর, আদি, রেশমি, পূজা, বিউটি যৌথভাবে স্পা ব্যবসা করছে । বনানী রোড নং ৭ হাউজ নং ৮৪ বল্ক নং- H লিফটের ১০ গোল্ডেন টিউলিপ স্পায় চলছে অবাধ দেহ ব্যবসা।
বিভিন্ন জেলা থেকে নারীদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে থেরাপি স্পা নামে অনবরত চলছে দেহ ব্যবসা। অশ্লীলতার মাধ্যমে এসব ব্যবসায়ীরা দৈনিক কাঁচা অর্থ উপার্জনের লালসায় সক্রিয় হয়ে উঠছে। আবারো জমে উঠতে শুরু করেছে বডি ম্যাসেজের আড়ালে রমরমা অসামাজিক ব্যবসার উম্মাদনা। চলছে উঠতি বয়সের বৃত্তবান পরিবারের সন্তানসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের খদ্দের হিসেবে আকৃষ্ট করার নানামুখী তৎপরতা। এসব ব্যবসা ঘিরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বনানী আবাসিক ও অফিস পাড়ায় নামে বেনামে নতুন আঙ্গিকে সূসজ্জিত ডেকোরেশনে গড়ে উঠতে শুরু করেছে স্পা সেন্টারগুলো। উল্লেখিত ব্যক্তিদের স্পা সেন্টার গুলো ঘুরে দেখা যায়, আগের চেয়েও ভাল ব্যবসা করছে তারা।জনসমাগমও ভালো। ভিতরে ঘরগুলোতে ছোট ছোট ঘরের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে কেবিন। বিভিন্ন রংয়ের আলোয় ঝলমল করছে স্পা সেন্টারগুলো। তবে বাইরের হালচাল দেখে বোঝার উপায় নাই এগুলো স্পা সেন্টার।
সূত্র জানায়, গত মাসে দায়িত্বনিষ্ঠ নজরদারিতায় অসামাজিক কার্যকলাপ রোধে অভিযান পরিচালনার কারণে কয়েকদিন বন্ধ ছিলো স্পা সেন্টারগুলো। তবে এখন সেই আগের মতোই স্পা নামক অশ্লীলতার কারখানা গুলো আবারো পূণরূজ্জীবিত করতে সক্রিয় কলকাঠি নাড়ার চেষ্টায় নিমজ্জিত রয়েছে এসব নেপথ্যের দোষররা । অশ্লীলতার নেপথ্য চক্রদের অবিষ্ট লক্ষধারা প্রতিষ্ঠিত করতে নমুনা স্বরুপ এই ব্যক্তিদ্বয়রা তাদের স্পা সেন্টারগুলো পূণরায় চালু করেছে। খদ্দেরদের আকর্ষণ বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও চালায় তারা।এসব স্পা সেন্টারগুলোতে গ্রাহকদের বড় অংশই ছেলে তাই মেয়েদের চাহিদা বেশি। সূত্র মতে, স্পা সেন্টারগুলোতে একেকজন খদ্দেরকে মনোরঞ্জনের জন্য সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়। আকার ভেদে দিনে অর্ধশতাধিক পর্যন্ত খদ্দের আসে এক একটি স্পা সেন্টারে। বনানী বসবাসকারী এক বাসিন্দা বলেন, অনেক আগ্রহ করে ঘণ-বসতি এলাকা ছেড়ে অভিযাত এলাকায় ফ্ল্যাট কিনেছি ছেলে সন্তান ভালো পরিবেশে মানুষ করবো কিন্তু সিদ্ধান্তটা ভুল ছিলো ঘণবসতি এলাকায় বসবাস করলে অন্তত ছেলে মেয়ে নানা বিধ অশ্লীল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়বে এমন দূশচিন্তা থাকতো না।
তাছাড়া নানাবিধ বানিজ্যিক আগ্রাসানে সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো আমাদের মানসম্মান রক্ষা হতো কিন্তু এসব স্পা ব্যবসায়ীদের উৎপাত যে ভাবে শুরু হয়েছে সম্মান সহকারে পরিজন নিয়ে বনানী এলাকায় বসবাস করা ইদানিং কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে পুলিশের কঠোর পর্যবেক্ষন অব্যাহত থাকলে এসব অশ্লীলতার আখড়াগুলো স্থায়ী ভাবে বন্ধ না হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে বলে মনে করেন সূশীল সমাজ।