ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সভায় কাউন্সিলরের মুখে কাপ ছুড়ে মারলেন আরেক কাউন্সিলর!

বোর্ড মিটিং চলাকালীন কাউন্সিলরদের কাপ ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসরই অপর এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। কালনা পুরসভায় ঘটা এই ঘটনায় এক কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় আহত হন।

বুধবারের (১৪ ডিসেম্বর) ওই ঘটনার পর তাকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এসটিকেকে রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন কর্মী। যদিও এই অভিযোগ সত্য নয় বলেই দাবি করেন কাউন্সিলর অনিল বসু।

পুরসভা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে কালনা পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলছিল। মিটিংয়ের শেষ দিকে শহরের ১৭ নং ওয়ার্ডের নিকাশী নালা পরিষ্কারের বিষয় নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে কাপ ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে কালনা এসটিকেকে রোড অবরোধ করে তৃণমূলের একাংশ। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

১৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাসের অভিযোগ, বৈঠকের শেষের দিকে দুই কাউন্সিলর অনিল বসু,সন্দীপ বসু আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমি এর প্রতিবাদ করি। এরপরেই আমাকে চেয়ার ছুড়ে মারতে আসেন। আমার গায়ে লাগে একের পর এক কাপ ছুড়তে থাকেন। কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাঁতে ও কপালে লাগলে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপরেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তার আরও অভিযোগ, আমার ওয়ার্ডে হাইড্রেনগুলো ঠিকমত পরিষ্কার করা হয় না। এ প্রসঙ্গে গত ৪ নভেম্বর চেয়ারম্যানকে একটি লিখিতভাবে অভিযোগ জানাই। এরপরেও তা না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও মহকুমাশাসককে একটি ই-মেইল করি। এই কারণেই আমার ওপর চড়াও হন দুই কাউন্সিলর। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানো হবে।

যদিও এই ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর অনিল বসু। তিনি বলেন, অভিযোগ মোটেও ঠিক নয়। কারণ ওই কাউন্সিলরদের আমি সম্মান করি। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেও ওই কাউন্সিলর বিভিন্ন জায়গায় আমার নামে অভিযোগ করেন। এই মিটিংয়ে সেই আলোচনা উঠতেই ওই কাউন্সিলর টেবিল চাপড়ে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেন।

এ ব্যাপারে কালনা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল বলেন, বৈঠকে শেষ পর্যন্ত আমি ছিলাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

সভায় কাউন্সিলরের মুখে কাপ ছুড়ে মারলেন আরেক কাউন্সিলর!

আপডেট সময় ১০:০৬:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

বোর্ড মিটিং চলাকালীন কাউন্সিলরদের কাপ ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসরই অপর এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। কালনা পুরসভায় ঘটা এই ঘটনায় এক কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় আহত হন।

বুধবারের (১৪ ডিসেম্বর) ওই ঘটনার পর তাকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এসটিকেকে রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন কর্মী। যদিও এই অভিযোগ সত্য নয় বলেই দাবি করেন কাউন্সিলর অনিল বসু।

পুরসভা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে কালনা পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলছিল। মিটিংয়ের শেষ দিকে শহরের ১৭ নং ওয়ার্ডের নিকাশী নালা পরিষ্কারের বিষয় নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে কাপ ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে কালনা এসটিকেকে রোড অবরোধ করে তৃণমূলের একাংশ। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

১৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাসের অভিযোগ, বৈঠকের শেষের দিকে দুই কাউন্সিলর অনিল বসু,সন্দীপ বসু আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমি এর প্রতিবাদ করি। এরপরেই আমাকে চেয়ার ছুড়ে মারতে আসেন। আমার গায়ে লাগে একের পর এক কাপ ছুড়তে থাকেন। কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাঁতে ও কপালে লাগলে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এরপরেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তার আরও অভিযোগ, আমার ওয়ার্ডে হাইড্রেনগুলো ঠিকমত পরিষ্কার করা হয় না। এ প্রসঙ্গে গত ৪ নভেম্বর চেয়ারম্যানকে একটি লিখিতভাবে অভিযোগ জানাই। এরপরেও তা না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও মহকুমাশাসককে একটি ই-মেইল করি। এই কারণেই আমার ওপর চড়াও হন দুই কাউন্সিলর। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানো হবে।

যদিও এই ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর অনিল বসু। তিনি বলেন, অভিযোগ মোটেও ঠিক নয়। কারণ ওই কাউন্সিলরদের আমি সম্মান করি। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেও ওই কাউন্সিলর বিভিন্ন জায়গায় আমার নামে অভিযোগ করেন। এই মিটিংয়ে সেই আলোচনা উঠতেই ওই কাউন্সিলর টেবিল চাপড়ে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেন।

এ ব্যাপারে কালনা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল বলেন, বৈঠকে শেষ পর্যন্ত আমি ছিলাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।