ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জন্মনিবন্ধন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগে সরকারের প্রশংসা ইউনিসেফের

বাংলাদেশে সর্বজনীন জন্মনিবন্ধন ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় ও স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। রোববার (১১ ডিসেম্বর) এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিশুদের আনুষ্ঠানিক জন্মনিবন্ধনের হার কমই রয়ে গেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫৬ শতাংশের জন্ম নিবন্ধিত হয়েছে। এর অর্থ প্রতি দুইজনের মধ্যে একজন শিশুর জন্মসনদ নেই।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়মিত টিকাদানের হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি সমন্বিত পদ্ধতির পথ প্রশস্ত করেছে যেখানে জন্মের সময় শিশুর নিবন্ধন না হয়ে থাকলে, প্রথম টিকা নেওয়ার সময় নিবন্ধিত করা হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘জন্মের সময় নিবন্ধন প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। আমি বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য, যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশু উপকৃত হবে।’

জাতীয়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষাসহ অন্যান্য ধরনের অধিকার দাবি করার জন্য জন্মসনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বাংলাদেশে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং এটি বিনামূল্যে করা হয়। তবে অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্মনিবন্ধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত নয়।

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. রাশেদুল হাসান বলেন, ‘জন্ম মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আজকের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, নির্ভুল ও দ্রুততম করবে। একইসঙ্গে তা শিশুর অধিকার রক্ষাসহ পরিচয় নির্বিশেষে সকলের জন্মনিবন্ধন নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

ইউনিসেফের কমিউকেশন কনসালটেন্ট ময়ূখ মাহতাব জানান, ইউনিসেফের সহাযোগিতায় জন্মনিবন্ধন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তথ্যভাণ্ডারের এ সমন্বয় ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সর্বজনীন জন্মনিবন্ধনের আওতায় আনার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ইউনিসেফ ২০১০ সালে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন চালু করাসহ ২০০১ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সর্বজনীন জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি’র দুঃসময়ের কর্মীদের মুল্যায়ন করতে হবে : এম এ কাইয়ুম

জন্মনিবন্ধন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগে সরকারের প্রশংসা ইউনিসেফের

আপডেট সময় ১০:৩৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

বাংলাদেশে সর্বজনীন জন্মনিবন্ধন ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় ও স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। রোববার (১১ ডিসেম্বর) এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিশুদের আনুষ্ঠানিক জন্মনিবন্ধনের হার কমই রয়ে গেছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫৬ শতাংশের জন্ম নিবন্ধিত হয়েছে। এর অর্থ প্রতি দুইজনের মধ্যে একজন শিশুর জন্মসনদ নেই।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়মিত টিকাদানের হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি সমন্বিত পদ্ধতির পথ প্রশস্ত করেছে যেখানে জন্মের সময় শিশুর নিবন্ধন না হয়ে থাকলে, প্রথম টিকা নেওয়ার সময় নিবন্ধিত করা হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘জন্মের সময় নিবন্ধন প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। আমি বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য, যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশু উপকৃত হবে।’

জাতীয়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষাসহ অন্যান্য ধরনের অধিকার দাবি করার জন্য জন্মসনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বাংলাদেশে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং এটি বিনামূল্যে করা হয়। তবে অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্মনিবন্ধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত নয়।

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. রাশেদুল হাসান বলেন, ‘জন্ম মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আজকের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, নির্ভুল ও দ্রুততম করবে। একইসঙ্গে তা শিশুর অধিকার রক্ষাসহ পরিচয় নির্বিশেষে সকলের জন্মনিবন্ধন নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

ইউনিসেফের কমিউকেশন কনসালটেন্ট ময়ূখ মাহতাব জানান, ইউনিসেফের সহাযোগিতায় জন্মনিবন্ধন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তথ্যভাণ্ডারের এ সমন্বয় ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সর্বজনীন জন্মনিবন্ধনের আওতায় আনার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ইউনিসেফ ২০১০ সালে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন চালু করাসহ ২০০১ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সর্বজনীন জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা দিয়ে আসছে।