ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান পঞ্চগড়ে জাকের পার্টির মিশন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৯ এপ্রিল, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা  চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক চেয়ারম্যান ওমর আলী গ্রেপ্তার রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী কারাগারে নাটোর ৭ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক রেমিট্যান্স উৎসব ২০২৫ অনুষ্টিত যবিপ্রবির প্রযুক্তি সংগঠন JUST Robo Society-এর ২৫সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা গাজীপুর কেওয়া পূর্ব খন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর বর্ষবরণ নৈতিকতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে একজন উপাচার্য নৈতিক চেয়ারে বসতে পারেন না: কুয়েট প্রসঙ্গে ইবি সমন্বয়ক

সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় স্বাধীনতা দিবস

১৯৭২ সাল হতে প্রতিবছর ২৬ মার্চ তারিখে উদযাপিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হলে তার পক্ষে এম. এ. হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে হতে জনগণের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। পরে ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন।

স্বাধীনতা শুধু একটি দিনের উদযাপন নয়, এটি আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পথচলার শক্তি। স্বাধীনতার মানে শুধু ভৌগোলিক মুক্তি নয়, চিন্তার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার, স্বপ্ন দেখার সাহস সবকিছুর নামই স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতা তখনই সার্থক, যখন আমরা ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবো। আমাদের প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা, নৈতিকতা ও একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ। যতদিন না আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিখব, যতদিন না সত্যকে আপন করে নেব, ততদিন স্বাধীনতা শুধুই একটি শব্দ হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এখনও অনেক পথ বাকি, এখনই সময় ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত করা।

মোঃ শাহজালাল জিহাদ মিয়াজী
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
(২০২২-২৩)

স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন এবং ২৬ শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস বলে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এবং জাতির প্রতি অবদানের কথা স্মরণ করে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।  ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারী প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়।  স্বাধীনতা   দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  এবারের স্বাধীনতা দিবসে  আমাদের কলেজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি কুচকাওয়াজ, প্যারেড অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে পালন করা উচিত এভাবেই স্বাধীনতা দিবসের মহাত্ম্য প্রকাশিত হবে।
রামিশা আনিকা
অর্থনীতি বিভাগ
(২০২১-২২)

স্বাধীনতা দিবসে আমার একটাই চাওয়া আমার কথা বলার স্বাধীনতা টুকু থাকুক ।
আমার মা বোনরা মুক্ত নিরাপদ ভাবে চলাচল করুক । আর কোন বোন নির্যাতন ধর্ষণের শিকার না হোক । নতুন কোন স্বৈরাচার আমার দেশকে পরাধীন করতে না পারুক ।
সবাই যেন আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করে সুখ-শান্তির সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি ।
স্বাধীনতা তুমি অক্ষত থাক ।

হাবিব আহসান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
(২২-২৩)

১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মর্মান্তিক যুদ্ধে ২ লক্ষ শহীদ ও ৩০ লক্ষ মা ও বোনের আত্মসম্মানের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা শব্দটি আমরা অর্জন করেছিলাম সেটি এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র শব্দেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে । যেখানে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার । ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে, প্রত্যেক নাগরিক যেন তার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার বিনা বাঁধায় উপভোগ করতে পারে- এই লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন । তখন কিন্তু আমাদের মনে এই প্রশ্নটি আসেনি কে মুসলমান, কে হিন্দু ,কে বৌদ্ধ ,কে খ্রিস্টান ! ‌
তবে আজ কেন এত প্রশ্ন ? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা স্বাধীনতার মূলমন্ত্র নিজের মধ্যে ধারণ করতে পেরেছে ?

তাহলে তো বলা যেতেই পারে ২৬ শে মার্চ আমরা স্বাধীনতা নামক শব্দটিকে উদযাপন করে থাকি !
তবুও আমরা সকলেই আশা করি স্বাধীনতার ৫৪ বছর পদার্পণে তথা নতুন বছরে নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে স্বাধীনতার যে মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং নাগরিক অধিকার স্থাপন হোক ।

নাম : ফারহানা রহমান
বাংলা বিভাগ
(২০-২১)

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান

সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় স্বাধীনতা দিবস

আপডেট সময় ০৪:২৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

১৯৭২ সাল হতে প্রতিবছর ২৬ মার্চ তারিখে উদযাপিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হলে তার পক্ষে এম. এ. হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে হতে জনগণের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। পরে ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন।

স্বাধীনতা শুধু একটি দিনের উদযাপন নয়, এটি আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের পথচলার শক্তি। স্বাধীনতার মানে শুধু ভৌগোলিক মুক্তি নয়, চিন্তার স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার, স্বপ্ন দেখার সাহস সবকিছুর নামই স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতা তখনই সার্থক, যখন আমরা ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করবো। আমাদের প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা, নৈতিকতা ও একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ। যতদিন না আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিখব, যতদিন না সত্যকে আপন করে নেব, ততদিন স্বাধীনতা শুধুই একটি শব্দ হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এখনও অনেক পথ বাকি, এখনই সময় ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত করা।

মোঃ শাহজালাল জিহাদ মিয়াজী
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
(২০২২-২৩)

স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন এবং ২৬ শে মার্চকে স্বাধীনতা দিবস বলে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এবং জাতির প্রতি অবদানের কথা স্মরণ করে এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।  ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারী প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়।  স্বাধীনতা   দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  এবারের স্বাধীনতা দিবসে  আমাদের কলেজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি কুচকাওয়াজ, প্যারেড অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে পালন করা উচিত এভাবেই স্বাধীনতা দিবসের মহাত্ম্য প্রকাশিত হবে।
রামিশা আনিকা
অর্থনীতি বিভাগ
(২০২১-২২)

স্বাধীনতা দিবসে আমার একটাই চাওয়া আমার কথা বলার স্বাধীনতা টুকু থাকুক ।
আমার মা বোনরা মুক্ত নিরাপদ ভাবে চলাচল করুক । আর কোন বোন নির্যাতন ধর্ষণের শিকার না হোক । নতুন কোন স্বৈরাচার আমার দেশকে পরাধীন করতে না পারুক ।
সবাই যেন আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করে সুখ-শান্তির সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি ।
স্বাধীনতা তুমি অক্ষত থাক ।

হাবিব আহসান
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
(২২-২৩)

১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মর্মান্তিক যুদ্ধে ২ লক্ষ শহীদ ও ৩০ লক্ষ মা ও বোনের আত্মসম্মানের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা শব্দটি আমরা অর্জন করেছিলাম সেটি এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র শব্দেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে । যেখানে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার । ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে, প্রত্যেক নাগরিক যেন তার ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার বিনা বাঁধায় উপভোগ করতে পারে- এই লক্ষ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন । তখন কিন্তু আমাদের মনে এই প্রশ্নটি আসেনি কে মুসলমান, কে হিন্দু ,কে বৌদ্ধ ,কে খ্রিস্টান ! ‌
তবে আজ কেন এত প্রশ্ন ? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা স্বাধীনতার মূলমন্ত্র নিজের মধ্যে ধারণ করতে পেরেছে ?

তাহলে তো বলা যেতেই পারে ২৬ শে মার্চ আমরা স্বাধীনতা নামক শব্দটিকে উদযাপন করে থাকি !
তবুও আমরা সকলেই আশা করি স্বাধীনতার ৫৪ বছর পদার্পণে তথা নতুন বছরে নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে স্বাধীনতার যে মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং নাগরিক অধিকার স্থাপন হোক ।

নাম : ফারহানা রহমান
বাংলা বিভাগ
(২০-২১)