মাত্র দেড় কোটি ইহুদির সাথে দুইশো কোটি মুসলিম পেরে উঠছে না। এটাকে কী বলে জানেন? কোয়ালিটি ওভার কোয়ান্টিটি।
জ্ঞান বিজ্ঞান চার্চার মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই না। পৃথিবীর বড়ো বড়ো আবিষ্কার তারা করছে। টেক দুনিয়ায় তারা রাজত্ব করছে। প্রতিনিয়ত যুগোপযোগী আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পায়ের মাটি এতোটা শক্ত করে ফেলেছে যে তারা পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করার পাওয়ার পেয়ে গেছে।
অপরদিকে আমরা মুসলিমরা কী করছি? জ্ঞান বিজ্ঞানের তো আশেপাশেও নেই। আমাদের কনসার্স হলো কে কারে লাগাইলো, কে ফ্রী মিক্সিং করলো, কে হিজাব পরলো না সেগুলা নিয়ে মেতে থাকা। দুর্নীতি রুখতে আমরা ড্রোন ব্যবহার করছি না,কোন মেয়ে হিজাব পরেনি সেটা খুঁজতে আমার ড্রোন ব্যবহার করি। একটা দেশ দুর্নীতির অতল গহবরে তলিয়ে গেলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। শুধু মেয়েরা হিজাব পরলেই চলবে।এটাই হচ্ছে আমাদের মেন্টালিটি।
আমরা এই উত্তরআধুনিক যুগে বাস করেও পড়ে আছি আদিম যুগের চিন্তাভাবনা নিয়ে। ঢিলা কুলুপ বানাই। ‘দিলিরিস ওসমান ‘দেখে আমরা ভাবি এই যুগে ঘোড়া আর ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করবো। ফেসবুকে রিয়েক্ট দিয়ে যুদ্ধ করবো। হাস্যকর!
আমাদের কোনো স্কিল নাই। কোনো ট্যালেন্ট নাই। কোনো ইনোভেটিভ চিন্তাভাবনা নাই।কেউ আমাদের শিখানোরও চেষ্টা করে নাই। দিন রাত ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকা আর ভিক্টিম হয়ে কান্নাকাটি করা ছাড়া আমাদের আর কোন প্রোডাক্টিভিটি নাই।কেউ আমাদের শিখানোর চেষ্টাও করে নাই।
সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘু এইগুলা শুধু সংখ্যা মাত্র। এই ক্যাপিটালাইজেশনের যুগে টিকে থাকতে হলে দরকার জ্ঞান বিজ্ঞান। ইনোভেটিভ আইডিয়া। এইসবের ধার ধারে কেউ?
এই দেখেন বাংলাদেশেই। পড়াশোনা আছে? একটা ছাত্রছাত্রীদের পড়তে দেখছেন? সবাই বিপ্লবী। সবাই রাজনীতিবিদ। সবাই রাস্তায়। সবাই ফেসবুক যুদ্ধা।
তাহলে ল্যাবে কে থাকবে? কে আবিষ্কার করবে? কে বিশ্বকে নতুন কিছু দিবে?
মাত্র দেড় কোটি ইহুদি অথচ বিজ্ঞানে নোবেল সবচেয়ে বেশি তাদের। আর মুসলিম? হা হা
এভাবে হবে না ব্রো। তুমি রিয়ালিটি মাইনা নেও।
সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে কোনো দেশে হুংকার দেওয়া সহজ। কিন্তু বিশ্ববাজারে এইসব হুংকারের ধার কেউ ধারবে না। আল্টিমেটলি সেখানে পাওয়ারফুল হতে গেলে এইসব নিচু চিন্তাভাবনা ছেড়ে নিজেদের উন্নত করার বিকল্প নাই।