ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়া গাজাসহ আটক ২ নোয়াখালী সেনবাগে এমপি মোরশেদ আলমসহ আওয়ামী লীগের ২৫ জন কে আসামি করে অজ্ঞাত ৬০ জনসহ মোট ৮৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রাঙ্গাবালীতে ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পানি ও কলম বিতরণ চৌমুহনীতে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবরের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন ধামরাইয়ে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৬টি ভেকু জব্দ করেছে প্রশাসন বিদায় সুন্দর পৃথিবী পোস্টের পর পাওয়া গেল জেরিনের ঝুলন্ত মরদেহ আত্রাইয়ে সুষ্ঠু ও নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্টিত লালমনিরহাটে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে হাট বসানোর চেষ্টা বিএনপি নেতার, ইউএনও বরাবর অভিযোগ মিঠাপুকুর এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষা শান্তিপুন্য ভাবে অনুষ্ঠিত পায়রাকুঞ্জে ব্রিজ নির্মানের টাকা আত্মসাতকারীদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন

বিলুপ্তপ্রায় একটা সম্প্রদায় কীভাবে পুরো বিশ্ব চালাচ্ছে? 

  • কায়েস শেখ
  • আপডেট সময় ০৩:০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৪৫ বার পড়া হয়েছে

মাত্র দেড় কোটি ইহুদির সাথে দুইশো কোটি মুসলিম পেরে উঠছে না। এটাকে কী বলে জানেন? কোয়ালিটি ওভার কোয়ান্টিটি।

জ্ঞান বিজ্ঞান চার্চার মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই না। পৃথিবীর বড়ো বড়ো আবিষ্কার তারা করছে। টেক দুনিয়ায় তারা রাজত্ব করছে। প্রতিনিয়ত যুগোপযোগী আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পায়ের মাটি এতোটা শক্ত করে ফেলেছে যে তারা পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করার পাওয়ার পেয়ে গেছে।

অপরদিকে আমরা মুসলিমরা কী করছি? জ্ঞান বিজ্ঞানের তো আশেপাশেও নেই। আমাদের কনসার্স হলো কে কারে লাগাইলো, কে ফ্রী মিক্সিং করলো, কে হিজাব পরলো না সেগুলা নিয়ে মেতে থাকা। দুর্নীতি রুখতে আমরা ড্রোন ব্যবহার করছি না,কোন মেয়ে হিজাব পরেনি সেটা খুঁজতে আমার ড্রোন ব্যবহার করি। একটা দেশ দুর্নীতির অতল গহবরে তলিয়ে গেলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। শুধু মেয়েরা হিজাব পরলেই চলবে।এটাই হচ্ছে আমাদের মেন্টালিটি।

আমরা এই উত্তরআধুনিক যুগে বাস করেও পড়ে আছি আদিম যুগের চিন্তাভাবনা নিয়ে। ঢিলা কুলুপ বানাই। ‘দিলিরিস ওসমান ‘দেখে আমরা ভাবি এই যুগে ঘোড়া আর ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করবো। ফেসবুকে রিয়েক্ট দিয়ে যুদ্ধ করবো। হাস্যকর!

আমাদের কোনো স্কিল নাই। কোনো ট্যালেন্ট নাই। কোনো ইনোভেটিভ চিন্তাভাবনা নাই।কেউ আমাদের শিখানোরও চেষ্টা করে নাই। দিন রাত ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকা আর ভিক্টিম হয়ে কান্নাকাটি করা ছাড়া আমাদের আর কোন প্রোডাক্টিভিটি নাই।কেউ আমাদের শিখানোর চেষ্টাও করে নাই।

সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘু এইগুলা শুধু সংখ্যা মাত্র। এই ক্যাপিটালাইজেশনের যুগে টিকে থাকতে হলে দরকার জ্ঞান বিজ্ঞান। ইনোভেটিভ আইডিয়া। এইসবের ধার ধারে কেউ?

এই দেখেন বাংলাদেশেই। পড়াশোনা আছে? একটা ছাত্রছাত্রীদের পড়তে দেখছেন? সবাই বিপ্লবী। সবাই রাজনীতিবিদ। সবাই রাস্তায়। সবাই ফেসবুক যুদ্ধা।
তাহলে ল্যাবে কে থাকবে? কে আবিষ্কার করবে? কে বিশ্বকে নতুন কিছু দিবে?

মাত্র দেড় কোটি ইহুদি অথচ বিজ্ঞানে নোবেল সবচেয়ে বেশি তাদের। আর মুসলিম? হা হা
এভাবে হবে না ব্রো। তুমি রিয়ালিটি মাইনা নেও।

সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে কোনো দেশে হুংকার দেওয়া সহজ। কিন্তু বিশ্ববাজারে এইসব হুংকারের ধার কেউ ধারবে না। আল্টিমেটলি সেখানে পাওয়ারফুল হতে গেলে এইসব নিচু চিন্তাভাবনা ছেড়ে নিজেদের উন্নত করার বিকল্প নাই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়া গাজাসহ আটক ২

বিলুপ্তপ্রায় একটা সম্প্রদায় কীভাবে পুরো বিশ্ব চালাচ্ছে? 

আপডেট সময় ০৩:০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

মাত্র দেড় কোটি ইহুদির সাথে দুইশো কোটি মুসলিম পেরে উঠছে না। এটাকে কী বলে জানেন? কোয়ালিটি ওভার কোয়ান্টিটি।

জ্ঞান বিজ্ঞান চার্চার মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই না। পৃথিবীর বড়ো বড়ো আবিষ্কার তারা করছে। টেক দুনিয়ায় তারা রাজত্ব করছে। প্রতিনিয়ত যুগোপযোগী আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পায়ের মাটি এতোটা শক্ত করে ফেলেছে যে তারা পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করার পাওয়ার পেয়ে গেছে।

অপরদিকে আমরা মুসলিমরা কী করছি? জ্ঞান বিজ্ঞানের তো আশেপাশেও নেই। আমাদের কনসার্স হলো কে কারে লাগাইলো, কে ফ্রী মিক্সিং করলো, কে হিজাব পরলো না সেগুলা নিয়ে মেতে থাকা। দুর্নীতি রুখতে আমরা ড্রোন ব্যবহার করছি না,কোন মেয়ে হিজাব পরেনি সেটা খুঁজতে আমার ড্রোন ব্যবহার করি। একটা দেশ দুর্নীতির অতল গহবরে তলিয়ে গেলেও আমাদের কিছু যায় আসে না। শুধু মেয়েরা হিজাব পরলেই চলবে।এটাই হচ্ছে আমাদের মেন্টালিটি।

আমরা এই উত্তরআধুনিক যুগে বাস করেও পড়ে আছি আদিম যুগের চিন্তাভাবনা নিয়ে। ঢিলা কুলুপ বানাই। ‘দিলিরিস ওসমান ‘দেখে আমরা ভাবি এই যুগে ঘোড়া আর ঢাল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধ করবো। ফেসবুকে রিয়েক্ট দিয়ে যুদ্ধ করবো। হাস্যকর!

আমাদের কোনো স্কিল নাই। কোনো ট্যালেন্ট নাই। কোনো ইনোভেটিভ চিন্তাভাবনা নাই।কেউ আমাদের শিখানোরও চেষ্টা করে নাই। দিন রাত ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকা আর ভিক্টিম হয়ে কান্নাকাটি করা ছাড়া আমাদের আর কোন প্রোডাক্টিভিটি নাই।কেউ আমাদের শিখানোর চেষ্টাও করে নাই।

সংখ্যাগরিষ্ঠ আর সংখ্যালঘু এইগুলা শুধু সংখ্যা মাত্র। এই ক্যাপিটালাইজেশনের যুগে টিকে থাকতে হলে দরকার জ্ঞান বিজ্ঞান। ইনোভেটিভ আইডিয়া। এইসবের ধার ধারে কেউ?

এই দেখেন বাংলাদেশেই। পড়াশোনা আছে? একটা ছাত্রছাত্রীদের পড়তে দেখছেন? সবাই বিপ্লবী। সবাই রাজনীতিবিদ। সবাই রাস্তায়। সবাই ফেসবুক যুদ্ধা।
তাহলে ল্যাবে কে থাকবে? কে আবিষ্কার করবে? কে বিশ্বকে নতুন কিছু দিবে?

মাত্র দেড় কোটি ইহুদি অথচ বিজ্ঞানে নোবেল সবচেয়ে বেশি তাদের। আর মুসলিম? হা হা
এভাবে হবে না ব্রো। তুমি রিয়ালিটি মাইনা নেও।

সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে কোনো দেশে হুংকার দেওয়া সহজ। কিন্তু বিশ্ববাজারে এইসব হুংকারের ধার কেউ ধারবে না। আল্টিমেটলি সেখানে পাওয়ারফুল হতে গেলে এইসব নিচু চিন্তাভাবনা ছেড়ে নিজেদের উন্নত করার বিকল্প নাই।