বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেছেন ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে যেটা করা উচিত ছিলো সেটা না করে কুয়েট উপাচার্য সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে, তিনি নৈতিকার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। নৈতিকতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে একজন উপাচার্য নৈতিক চেয়ারে বসতে পারেন না। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুধু কুয়েট না সারাদেশে উদাহরণ হয়ে থাকবে’।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩ টায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন বটতলায় কুয়েটের ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের প্রতিবাদে এবং তাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন সমন্বয়ক।
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়েটের উপাচার্য যে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে সেটা বিগত ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার সরকারও করতে সাহস করেনি সেটা তিনি করেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে। সারাদেশের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তারা জুলাই গণ বিল্পবের মাধ্যমে আসেননি, তারা একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার জন্য এসেছে। অথচ জুলাই পরবর্তী সময়ে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুষম ন্যায্যতার বহিঃপ্রকাশ হওয়ার কথা ছিলো’।
কুয়েট প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি কারো প্ররোচনায় একে অপরের বিভাজনে লিপ্ত হন তাহলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদেরকে কাম্পাস থেকে বের করে দিতে বাধ্য হবে। সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে যিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না তিনি কখনো উপাচার্য হিসেবে থাকতে পারেন না’
এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রব্বানী, ইয়াশীরুল কবির সৌরভ, তানভীর মন্ডল, জাস্টিস ফর জুলাই ইবি শাখার আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জোয়ার্দার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য এর আগে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ