ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অবৈধ ভাবে গোয়াইনঘাট নদীর পার থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন জুলাই অভ্যুত্থানে শাহবাগের সবচেয়ে বড় মিছিল ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের – বাকের সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবি থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১২৮ জন বহিষ্কার জাবির ৬ নং ছাত্র হল প্রশাসনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জবির দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করল ঢাবি কুবিতে নোয়াখালী ছাত্রকল্যাণ পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গফরগাঁয়ে মাটিকাটা নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত ১ একাত্তরে আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি -আমির ডা. তাহের নারায়ণগঞ্জে মাদক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা কেশবপুর খ্রিস্টান মিশন থেকে তিন পাহাড়ি মেয়েকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী 

মিরসরাইয়ে ব্রোকলি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

দেখতে ফুলকপির মত হলেও মূলত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি ব্রোকলি। এটি চাষাবাদের খরচ খুবই কম, এতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারীতা। তাই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্রোকলি চাষে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এবছর এসএসিপি প্রকল্প কর্তৃক গ্রীণ ক্রাউন জাতের ব্রোকলি পুরো উপজেলায় ৩টি প্রদর্শনী নিয়ে দুই একর জমিতে আবাদ হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০ শতক জমিতে কৃষি অফিসের দেয়া প্রদর্শনিতে ব্রোকলি চাষকরে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক মোহাম্মদ মামুন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মিঠালার পূর্ব মলিয়াইশ এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র।

সারেজমিনে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে কৃষক মামুন নিজের চাষাবাদের প্রায় ৫০ শতক জমিতে ১৫’শ ব্রোকলি চারা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে কোন কোন ব্রোকলির ওজন হয়েছে ৭০০-৮০০ গ্রাম। এসব ব্রোকলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা ধরে। সাইজ অনুযায়ী দামের পরিবর্তন হয়।

কৃষক মামুনের বাবা জয়নুল আবেদীন বলেন, ব্রোকলি চাষে উপজেলা কৃষি অফিসরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। বিক্রির দামটা যদি আরও বেশি পেতাম তবে আরও লাভবান হতে পারতাম।

কৃষক মোহাম্মদ মামুন জানান, গত বছর নিজেদের খাওয়া জন্য অল্পকিছু জায়গায় ব্রোকলি চাষ করেছিলাম। এতে আমার খুব ভালো ফলন হওয়ায় বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদের পরিকল্পনা করি। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদর্শনী পেয়ে ৫০ শতক জমিতে চাষাবাদ করি। ফলন ভালো হয়েছে। এতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। আশকরি ৪০-৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, ব্রোকলির সাথে এখনকার মানুষ তেমন পরিচিত নয়। এতে অনেক সময় ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হয় না, তবে ভিন্ন হচ্ছে যারা ব্রোকলি সম্পর্কে জানে তারা দেখা যায় বিক্রির নির্ধারিত দাম থেকে বেশি দিয়ে কিনে নেয়। সাধারণ মানুষ ব্রোকলির সাথে পরিচিত হলে আরও অনেক ভালো দামে বিক্রি করে দিগুণ লাভ করা সম্ভব। তিনি ব্রোকলির পাশাপাশি বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, কাঁচামরিচ, মিষ্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, ব্রোকলি একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে এন্টি ক্যান্সার উপাদান রয়েছেসহ বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু ব্রোকলি এখনও অনেকেই চিনে না, তারপরও এটার মোটামুটি চাহিদা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি চাষাবাদের পাশাপাশি বাজারজাত করন এবং মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা মাঠ দিবস করছি। সেখানে এটা কেন খাবে, উপকারীতাসহ নানা বিষয়ে জনসম্মুখে আলোচনা করছি। আশাকরি আগামী বছর এর চাষাবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ভাবে গোয়াইনঘাট নদীর পার থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন

মিরসরাইয়ে ব্রোকলি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

আপডেট সময় ০৫:২০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেখতে ফুলকপির মত হলেও মূলত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি ব্রোকলি। এটি চাষাবাদের খরচ খুবই কম, এতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারীতা। তাই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্রোকলি চাষে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এবছর এসএসিপি প্রকল্প কর্তৃক গ্রীণ ক্রাউন জাতের ব্রোকলি পুরো উপজেলায় ৩টি প্রদর্শনী নিয়ে দুই একর জমিতে আবাদ হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০ শতক জমিতে কৃষি অফিসের দেয়া প্রদর্শনিতে ব্রোকলি চাষকরে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক মোহাম্মদ মামুন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মিঠালার পূর্ব মলিয়াইশ এলাকার জয়নাল আবেদীনের পুত্র।

সারেজমিনে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে কৃষক মামুন নিজের চাষাবাদের প্রায় ৫০ শতক জমিতে ১৫’শ ব্রোকলি চারা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে কোন কোন ব্রোকলির ওজন হয়েছে ৭০০-৮০০ গ্রাম। এসব ব্রোকলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা ধরে। সাইজ অনুযায়ী দামের পরিবর্তন হয়।

কৃষক মামুনের বাবা জয়নুল আবেদীন বলেন, ব্রোকলি চাষে উপজেলা কৃষি অফিসরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। বিক্রির দামটা যদি আরও বেশি পেতাম তবে আরও লাভবান হতে পারতাম।

কৃষক মোহাম্মদ মামুন জানান, গত বছর নিজেদের খাওয়া জন্য অল্পকিছু জায়গায় ব্রোকলি চাষ করেছিলাম। এতে আমার খুব ভালো ফলন হওয়ায় বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদের পরিকল্পনা করি। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদর্শনী পেয়ে ৫০ শতক জমিতে চাষাবাদ করি। ফলন ভালো হয়েছে। এতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। আশকরি ৪০-৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, ব্রোকলির সাথে এখনকার মানুষ তেমন পরিচিত নয়। এতে অনেক সময় ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হয় না, তবে ভিন্ন হচ্ছে যারা ব্রোকলি সম্পর্কে জানে তারা দেখা যায় বিক্রির নির্ধারিত দাম থেকে বেশি দিয়ে কিনে নেয়। সাধারণ মানুষ ব্রোকলির সাথে পরিচিত হলে আরও অনেক ভালো দামে বিক্রি করে দিগুণ লাভ করা সম্ভব। তিনি ব্রোকলির পাশাপাশি বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, কাঁচামরিচ, মিষ্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, ব্রোকলি একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে এন্টি ক্যান্সার উপাদান রয়েছেসহ বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু ব্রোকলি এখনও অনেকেই চিনে না, তারপরও এটার মোটামুটি চাহিদা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি চাষাবাদের পাশাপাশি বাজারজাত করন এবং মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা মাঠ দিবস করছি। সেখানে এটা কেন খাবে, উপকারীতাসহ নানা বিষয়ে জনসম্মুখে আলোচনা করছি। আশাকরি আগামী বছর এর চাষাবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে।