মধ্য এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে নৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত ১২ জন নারী-পুরুষকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছে। বুধবার দেশটির লোগোর অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
তালেবান গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা দুই সপ্তাহ আগে দেশটির বিচার বিভাগে পূর্ণ শরিয়া আইন জারির নির্দেশ দেন। তার এ নির্দেশের পর কাবুলে এখন শরিয়া অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম চলার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে বুধবার লোগার অঞ্চলে ১২ জনকে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়। ওই সময় স্টেডিয়ামটিতে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই ১২ জনের মধ্যে তিনজন ছিলেন নারী।
তালেবানের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এসব নারী-পুরুষ ‘নৈতিক অপরাধ’ করেছেন। ১২ জনের মধ্যে কেউ অনৈতিক কাজ, কেউ ডাকাতি এবং কেউ সমকামিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর শাস্তি ভোগ করেছেন।
এ নিয়ে এ মাসে দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশ্যে নারী-পুরুষকে বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এরমাধ্যমে ৯০ এর দশকে তালেবান যে কঠোর শাসন চালিয়েছিল সেটিই ফিরে আসার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
যেখানে বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটেছে সেই লোগার অঞ্চলের তালেবান মুখপাত্র মানসুর মুজাহিদ বলেছেন, ‘বেত্রাঘাতের পর তিন নারীর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুরুষদের মধ্যে কয়েকজনকে জেলে নেওয়া হয়েছে। তাদের সর্বনিম্ন ১৯ থেকে সর্বোচ্চ ৩৯ বার বেত দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।’
শরিয়া আইনে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, পাথর নিক্ষেপ এবং অঙ্গছেদের বিধান রয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয় কোন ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে।
এদিকে এর আগে মাত্র চারদিন আগে তাখার প্রদেশে ১৯ জনকে হাজার হাজার মানুষের সামনে একইরকম শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।