অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের মত আরেকটা জালে যেন আপনি না পড়েন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক। কারো কথা শুনে দায় আপনাদের ঘাড়ে নেবেন না। ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসরদেরকে যদি না সরান, শুধু আগুন নয় আরও ষড়যন্ত্র, আরও খেলা খেলতে পারে তারা। তাই এদেরকে সরাতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ আপনাকে দিতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া সংস্কার সম্পূর্ণ হবে না। সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের মত আর একটা জালে যেন আপনি না পড়েন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন বিদেশে বসে শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তি করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে। বিএনপিকে কয়েকটা আসন দেয়। আরও অনেক কথা রয়েছে, সব বলব। ডক্টর ইউনূস সাহেব, এসব সংসদে বলার জন্য অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমরা ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের মতো নির্বাচন চাই না। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন- এমন নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তিরা ভোট দেবে না। রাতে ভোট হবে না। যার ভোট সে-ই দেবে। পছন্দমত প্রার্থীকে বিজয়ী করবে। এমন নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে ১৫২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবে না।
বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে বিরোধীদলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে, অনতিবিলম্বে জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের তারিখ ঠিক করুন। নির্বাচন দিন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া, দপ্তর সম্পাদক ভিপি শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, কৃষক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, পল্টন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম পাটোয়ারী, মীর মমিনুর রহমান সুজন, মনিরুজ্জামান সাগর, শামসু মাস্টার, জাকির হোসেন, রমজান আলী প্রমুখ।