জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ দাবিতে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সবগুলো ছেলেদের হল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘দাবি মোদের একটাই পোষ্য কোটার বাতিল চাই’, ‘হলে হলে খবর দে পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল’, ‘শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি হলো পোষ্য কোটার সম্পূর্ণরূপে বাতিল। তাদের মতে, এই কোটা মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি বৈষম্যের সৃষ্টি করছে।
এরা আগে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে গতকাল রাতে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৪০ জন এ কোটায় ভর্তি হতে পারবেসহ বেশ কয়েকটি শর্তে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এই শর্তে সন্তুষ্ট নন এবং পোষ্য কোটার সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট করেন অনেকে। তাদের মতে, পোষ্য কোটা বৈষম্যমূলক এবং এটি শিক্ষার ন্যায্যতার পরিপন্থি।
এদিকে আজ সকাল ১০ টায় পোষ্য কোটা পূর্বের ন্যায় বহাল রাখতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মানববন্ধনের এক পর্যায়ে পোষ্য কোটাবিরোধী আন্দোলনের পোস্টার ছেড়ার জের ধরে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের সাথে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলনে যেহেতু কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাই আমরা এখন পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।