লালমনিরহাট জেলায় বিগত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে, আবাদি জমিতে তামাক চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় তামাক চাষে লাভ বেশি-তাই কৃষি বিভাগের তামাক চাষ নিরুৎসাহিতকরণ কর্মসূচীতে সারা দিচ্ছেন না কৃষকেরা।
“বিষপাতা” হিসেবে পরিচিত তামাকের চাষ- দিন দিন যেনো বড়েই চলছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। জেলার ভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যেসব আবাদি জমিতে একসময় ধান, গম, ভুট্টা, আলুসহ বিভিন্ন আগাম জাতের সবজী চাষ করা হতো, সেসব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে। তামাকজাত কোম্পানির নানা প্রলোভনে ও অধিক মুনাফার আশায়, তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মো: সাইখুল আরিফিন বলেন, জেলায় গতবছর ৯ হাজার ৮ শত ৬৫ হেক্টরের বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে । আর এ বছর তা বেড় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে। এর কারন তামাক চাষ নিষিদ্ধ না। তামাক ক্রয় কারি প্রতিষ্ঠানগুলো লিমিটেড কোম্পানি তাই তারা কৃষকদের আগাম দর দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করে এবং আগাম ঋণ/সার এর ব্যবস্থা করে দেয় তাই কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে এই চাষ করতে আগ্রহী হয়।
তামাক চাষ বৃদ্ধির কারণে কেবল আবাদি জমিই কমছে না পাশাপাশি বাড়ছে এই ফসলের সঙ্গে জড়িত কৃষক এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যঝুঁকি।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলা ছাড়াও তিস্তা নদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলেও চাষ হচ্ছে বিষপাতা-তামাক। তাই তামাক চাষ সীমিত পর্যায়ে নিয়ে আসতে, সরকারকে নতুন করে কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন,লালমনিরহাটের সচেতন সমাজ।