ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মোহনগঞ্জে ধনু নদে জেলের জালে ধরা পড়ল  ৬৬ কেজির বাঘাইর ভালুকায় ঋতুরাজ বসন্তে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল ববি’তে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ সিআরসি ফাউন্ডেশনের গণমাধ্যম সপ্তাহের আগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়েছে বিএমএসএফ বগুড়ার কাহালু উপজেলার একই গ্রামে দুই শিশু ধর্ষণ ঘটনার অভিযুক্ত আসামী নুরুল ইসলাম নূর গ্রেফতার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার ফরিদপুরের সালথা থানার বাহিরদিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে কুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৃহত্তর ঐক্য যেন নষ্ট না হয়: মাহবুব মোর্শেদ রংপুরে ব্রাকেট বিহীন জাসদ গড়তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পড়াশোনার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিটমহলের মোহছেনার পরিবার

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার বাসিন্দা মোহছেনা আক্তার। প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত ছিটমহলের কোনো বাসিন্দা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এতে সবাই আনন্দিত হলেও মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে দরিদ্র পরিবারটি।

জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মোহছেনা আক্তার এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সে ২০২২ সালে গঙ্গারহাট দাখিল মাদরাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি, কাশিপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে।

তার বাবা কৃষক ও মা গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে মোহছেনা সবার ছোট। বড় বোন মাহাবুবা মুক্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করছেন এবং মেজো বোন মাহফুজা খাতুন মিষ্টি কুড়িগ্রাম মহিলা কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছেন। সীমিত আয়ের এই পরিবারটি এতদিন মেয়েদের পড়াশোনার খরচ বহন করলেও মেডিকেলে পড়াশোনার বিপুল খরচ মেটানো এখন তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

মোহছেনার বাবা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার মেয়ের মেডিকেলে চান্স পাওয়া আমার জন্য অনেক গর্বের। কিন্তু মেয়েকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন পূরণে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

মোহছেনা বলে, আমি ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। তবে এখন আমার পড়াশোনার জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি সবার কাছে সাহায্যের আবেদন জানাই।

বড় বোন মাহাবুবা মুক্তা বলেন, আমার বোন মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমার বাবা ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার থাকায় চাকরি করতে পারেনি। অন্যর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে আমাদেরকে লেখাপড়া করাচ্ছেন।

স্থানীয় আমিনুল ইসলাম, আশাদুল, জলিল মিয়াসহ অনেকেই বলেন, ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার মানুষ আজ গর্বিত। আমাদের মেয়ে এবার মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছে। মোহছেনার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাকী খন্দকার বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রী মোহছেনা। সে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি। তাকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় করব।মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ সাংবাদিক নেএকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মোহনগঞ্জে ধনু নদে জেলের জালে ধরা পড়ল  ৬৬ কেজির বাঘাইর

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পড়াশোনার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিটমহলের মোহছেনার পরিবার

আপডেট সময় ১১:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার বাসিন্দা মোহছেনা আক্তার। প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত ছিটমহলের কোনো বাসিন্দা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এতে সবাই আনন্দিত হলেও মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে দরিদ্র পরিবারটি।

জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মোহছেনা আক্তার এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সে ২০২২ সালে গঙ্গারহাট দাখিল মাদরাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি, কাশিপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে।

তার বাবা কৃষক ও মা গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে মোহছেনা সবার ছোট। বড় বোন মাহাবুবা মুক্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করছেন এবং মেজো বোন মাহফুজা খাতুন মিষ্টি কুড়িগ্রাম মহিলা কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছেন। সীমিত আয়ের এই পরিবারটি এতদিন মেয়েদের পড়াশোনার খরচ বহন করলেও মেডিকেলে পড়াশোনার বিপুল খরচ মেটানো এখন তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

মোহছেনার বাবা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার মেয়ের মেডিকেলে চান্স পাওয়া আমার জন্য অনেক গর্বের। কিন্তু মেয়েকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন পূরণে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

মোহছেনা বলে, আমি ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। তবে এখন আমার পড়াশোনার জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি সবার কাছে সাহায্যের আবেদন জানাই।

বড় বোন মাহাবুবা মুক্তা বলেন, আমার বোন মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমার বাবা ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার থাকায় চাকরি করতে পারেনি। অন্যর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে আমাদেরকে লেখাপড়া করাচ্ছেন।

স্থানীয় আমিনুল ইসলাম, আশাদুল, জলিল মিয়াসহ অনেকেই বলেন, ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ার মানুষ আজ গর্বিত। আমাদের মেয়ে এবার মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছে। মোহছেনার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাকী খন্দকার বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রী মোহছেনা। সে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে শুনে আমি খুব খুশি হয়েছি। তাকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায় করব।মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ সাংবাদিক নেএকোনা জেলা প্রতিনিধিঃ