জাফলংয়ে পাথর ব্যবাসয়ী খোকনের উপর গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা করিম বাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
জাফলং নদীতে যুবলীগ নেতা করিমের নেতৃত্বে চলছে হরিলুট
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং নদীর বালু মহল থেকে করিম নামে এক ব্যক্তির চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে,করিম তার বাহিনীর কয়েকজন মিলে শ্রমিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রাতের বেলায় খোকন মিয়ার বাড়ির আঙ্গিনার দক্ষিণ পাশে অবৈধ ভাবে দুইটি সেইভও বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি পাথর খেকো সাবু মিয়া। পাথর উত্তোলনে বাধা দেওয়া, করিমের লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলার শিকার হন নয়া বস্তির মো:খোকন মিয়া ও তার ছোট ভাই শরীফ আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন মিলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেয়। এরপর সন্ধ্যায় করিম এবং তার বাহিনী জাফলং মামার বাজার মেলার মাঠ সংলগ্নে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শরীফের বাড়িতেও ক্রাশার মেশিনের অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করে নগদ অর্থসহ অনেক কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। শরীফ গুরুতর আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,দীর্ঘদিন থেকে জাফলং এলাকায় নদীর পাড়ে করিম বাহিনী ক্ষমতা দেখিয়ে নদীতে নিজস্ব জায়গা উল্লেখ করে সাধারণ শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছেন করিম।
প্রতিবাদ করায় হামলা শিকার হন খোকন।
ভক্তভুগী আহত খোকনের বড় ভাই পাথর ব্যবসায়ী আলমাস জানান তাদের বাড়ির নিচে যুবলীগ নেতা করিম সেইভ মেশিন লাগিয়ে পাথর উত্তোলন করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে খোকন ও তার পরিবার বাদা দিলে করিম বাহিনী বেপরোয়া হয়ে তাদের উপর হামলা করে।
জাফলং নয়াবস্তি গ্রামের আলমাস ও খোকনের পরিবার গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সু- বিচার কামনা করেন। যুবলীগ নেতা করিম বাহিনী দীর্ঘ বছর থেকে জাফলং নদীতে চাঁদাবাজি সহ সকল অবৈধ কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।
এ বিষয় জানতে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার সাংবাদিক একাধিক বার ফোন করলেও যুবলীগ নেতা করিম ফোন রিসিভ করেনি।