শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পবিপ্রবিতে নিম গাছের চারা রোপন কর্মসুচি পালন করা হয়।
সোমবার (২০ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এর সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এবং অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড এসএম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ আবদুল লতিফ। বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড মোঃ জিল্লুর রহমান, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ এর ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রভোস্ট কাউন্সিল এর কনভেনর অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান, এবং প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান।
কর্মসুচিতে বিশেষ অতিথি উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান তার বক্তব্যে সকলকে পরিবেশ রক্ষায় আরও বেশি ভূমিকা রাখার আহবান জানান এবং তিনি বলেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই, প্রকৃতি বাঁচাই, দেশ গড়ি।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি পালন করছি । এই উদ্যোগ কেবল একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নয়; এটি আমাদের পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি এবং জিয়াউর রহমানের কর্ম ও আদর্শকে ধারণ করার একটি প্রতীক।
শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বীর সেনানী। ১৯৭১ সালে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। পরবর্তী সময়ে তিনি দেশ গঠনে নেতৃত্ব দেন এবং এক আত্মনির্ভরশীল, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেন।
উপাচার্য বলেন, তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়। আজকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শুধু তার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি না, বরং তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে আমাদের দায়িত্বও স্মরণ করছি। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব অপরিসীম। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত, বেশি বেশি গাছ লাগানো এবং প্রকৃতিকে রক্ষা করা।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, এই নিম গাছের চারা একদিন বিশাল বৃক্ষে পরিণত হবে, যেমনটি শহীদ জিয়া তার কর্মের মাধ্যমে এ জাতির জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের উচিত দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ গঠনে অবদান রাখা।
আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের অভ্যন্তরে, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের অভ্যন্তরে এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পৃথক পৃথক নিম গাছের চারা রোপন করেন উপাচার্য। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।