কে এম নুরুল ইসলাম যিনি দুদক’কে আপন বসতবাড়ি মনে করেন। দাম্ভিকতার সাথে বলেন দুদক তার কিছুই করতে পারবেনা কারণ এই কমিশনে তার লোক আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বর্তমানে তাদের কর্মপরিধি যেমন সংকুচিত করেছে, ঠিক তেমনি অকার্যকর একটি প্রতিষ্ঠানের দিকে ধীরে ধীরে ধাবিত হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা এই প্রতিষ্ঠানকে এক প্রকার অকার্যকরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’এর তৎপরতা ও অভিযান আগের মত ধারালো নয় যেটা বর্তমান সময়ে হওয়া উচিত। এখন এক প্রকার তারা ভোঁতা যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। মানুষ অপেক্ষা করছে তারা তেজস্বী হবে কবে। এই প্রতিষ্ঠানটিতে এখনো সংস্কার হয়নি। বৌদ্ধরা মনে করেন এই প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সংস্কার চালিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের আগে নির্মূল করে দুদক’কে অভিযানমূখী করতে হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রায় পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা অপচয় বা নষ্ট হয়েছে। গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাধ্যমে খরচ করা হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা লুটপাট করা হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পে মূলত রাজনৈতিক চাঁদাবাজি, ঘুষ এবং বাড়তি খরচ দেখিয়ে এই বিপুল অর্থ লুটপাট করেছেন বিদায়ী ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও সুবিধাভোগীরা। অর্থনীতি নিয়ে সরকারের শ্বেতপত্রে প্রকল্পের নামে টাকা অপচয়ের এমন চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি এডিপির দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থের অপচয় এসব বিষয় নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি ডলার বা ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা (বর্তমান বাজারদরে) অর্থ এডিপির মাধ্যমে খরচ হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি মনে করে, এডিপির মাধ্যমে যত টাকা খরচ করা হয়েছে, এর ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ অপচয় ও লুটপাট হয়ে গেছে। এই লুটপাটের মধ্যেই ছিল এলজিইডির আওতায় পৌরসভাসমূহ। তারাও বরাদ্দ পেয়েছে অকৃপণভাবে।
এর বাইরে ছিলোনা ঝালকাঠী সদর পৌরসভা যার এলজিইডি প্রকৌশলী কে এম নুরুল ইসলাম।
তার পৌরসভায় তিনি কাজ ও বরাদ্দ পেয়েছেন অবিরামভাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলের সদস্য আমির হোসেন আমুর ভাতিজার বদান্যতায় তার কপাল খুলে যায়। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদা বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য, কর ফাঁকি, ঘুষ বাণিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে হয়েছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প কর্মরত থাকাকালীন তার ক্ষমতার দাপটে ঐসব প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারতেন না। এমনকি কোনো দিন পৌরসভার কাজ না করে চূড়ান্ত বিল অনুমোদনের সময় টাকা ভাগাভাগি করে নিতেন। যার ফলে প্রকল্প পরিচালক এসব সরকারি অর্থ আত্মসাৎ কথা জানতে পারলে কে এম নুরুল ইসলাম কে ইউ নোট দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বদলির জন্য সুপারিশ করে পটুয়াখালি জেলায় বদলি করেন।
এদিকে নিজ নামে ও তার স্ত্রীর নামে, ২ কন্যার নামে, তার বড় ভাই ঝালকাঠী সদরে ৫তলা বাড়ি তার স্ত্রীর নামে, স্ত্রীর বড় ভাই অর্থাৎ সম্বন্ধী বাংলাদেশ ডেভেলপার নামে শেয়ারে বিল্ডিং তৈরি করেন ও তার ২ (দুই) মেয়েকে কানাডা পড়াশোনা করান। আর এক সম্বন্ধী আহসান উল্লাহ খাঁন পদ্মা ব্যাংক, মতিঝিল শাখা পিএলসি হেডে অফিসে যা সাবেক প্রধান মন্ত্রীর ভাতিজা শেখ ফজলে নূর তাপসের ব্যাংকের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করেন এবং নামে ও বেনামে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ইতিহাস রাষ্ট্রের স্বার্থে তুলে ধরা হলো : (১) মো. কে এম নুরুল ইসলাম মন্দির মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাস ও ভিপি সম্পত্তির মধ্যে বিলাসবহুল ও দৃষ্টিনন্দন ৪ তলা বাড়ি নির্মাণ করে, যার মূল্য ৩ কোটি টাকা। (২) রাজধানীর ঢাকার আজিমপুরে ৩ হাজার এসফটি ১ যা তিনি পরিবারসহ বসবাস করেন এবং ২৫০০ এসফটি ২ এবং ৭৫০ এসফটি ১ তার রয়েছে যার বাজার মূল্য ৭.৫ কোটি টাকার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। (৩) তার নিজস্ব বিলাসবহুল গাড়ীও আছে যা তিনি ঢাকায় আসলে ব্যবহার করে।
(৪) তার নিজ জন্মস্থান ঝালকাঠী জেলার বিভিন্ন মৌজায় ক্রয় করেছেন শত কোটি টাকার প্লট ও দৃষ্টিনন্দন বাড়ি নির্মাণ করেছেন। (৫) ঝালকাঠী জেলার সদর থানার রয়েছে ১০ একর সম্পত্তি যাতে তিনি তৈরি করেছেন প্রায় ৫০০ গরুর খামার। উক্ত খামার ব্যবসা বিনা লাইসেন্সে তিনি করে যাচ্ছেন। (৬) সাথে বাংলাদেশে ডেভেলপার নামে শেয়ারে বিল্ডিং তৈরি করেন ও তার ২(দুই) মেয়েকে কানাডা পড়াশশোনা করার মাধ্যমে টাকা পাচার করেন সরকারের তিনি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন। (৭) ঝালকাঠী জেলার সদর থানার তার রয়েছে ৫০ একর জমি তাতে তিনি মৎস্য খামার করেছেন এবং কর ফাঁকি, দিয়ে যাচ্ছেন। মৎস্য অফিসের লাইসেন্সবিহীন প্রভাব খাটিয়ে তিনি এই ব্যবসা করে। হিন্দুদের জায়গা জমি তিনি অবৈধভাবে দখল করেছেন। (৮) সমন্ধী আহসান উল্লাহ খাঁন পদ্মা ব্যাংক, মতিঝিল শাখা পিএলসি হডে অফিসে চাকরি করে সিএনজি ও পেট্রোল পাম্প যার মূল্য ২০ কোটি টাকা। (৯) ২০১৮-২০২৩ গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের টাকা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে কাজ না করলের একক প্রভাব খাটিয়ে চূড়ান্ত বিল অনুমোদন দেওয়া হয় এবং এক রাস্তায় একাধিকবার বরাদ্দ দেখিয়ে ও ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশ করে এবং নি¤œমানের মালামাল মাধ্যমে কে এম নুরুল ইসলাম কাজ করাতেন এককভাবে তিনি বিগত ১০ বছরে ৪ হাজার কোটি বরাদ্দকৃত টাকা থেকে কোটি কোটি টাকা যোগসাজশের মাধ্যমে আত্মাসাত করেছেন এবং রাস্তা ঘাটের বারোটা বাজিয়েছেন। তার প্রকল্পের সকল কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের। কাজের অবস্থা দেখলে কষ্টের অন্ত থাকবে না। দুদক তদন্ত করলে আসল সত্যতা বেরিয়ে আসবে।
(১০) পৌরসভায় বরাদ্দকৃত অর্থ পৌরসভার লোকজনের সাতে সমন্বয় করে কাজ না করিয়ে ভ‚য়া বিল তৈরী করে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা এলাকাবাসী সবাই জানে। এলাকায় গিয়ে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। (১১) স্ত্রী মোছাঃ মাহফুজা খানম আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং কে এম নুরুল ইসলাম আমির হোসেন আমুর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যের ভাতিজা বলে পরিচয় দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অফিসের সবাইকে তটস্থ করে রাখতো। (১২) কে এম নুরুল ইসলাম বড় ভাই হাসপাতালে পিয়ন পদে চাকুরি দিয়েছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। শুধু তাই নয় পিয়ন থেকে তার ভাইকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বানিয়ে ছাড়ছে। (১৩) কে এম নুরুল ইসলাম চাচা আমির হোসেন আমুর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যের চাচাত ভাই প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অফিসের পিয়ন ছিলেন। তার ভাই ও সে প্রভাব ঘাটাতো এবং তার সেই ভাই প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ কামিয়েছে যে খবর মিডিয়ায় ভিডিও আকারে প্রচারিত হয়েছিল এবং পত্রিকায়ও নিউজ হয়েছিল। (১৪) কে এম নুরুল ইসলাম তার বাবা বাজারে বাজারে দুধ বিক্রি করতেন এবং মা মানুষের বাড়ি ঝি এর কাজ করতেন একজন হতদরিদ্র ঘরের সেই ছেলে এখন হাজার হাজার কোটি টাকা মালিক। (১৫) পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের শিলিগুড়িতে রয়েছে শত কোটি টাকার বিলাসবহুল বাড়ী। যে বাড়ীর খবর এলাকার সবাই জানে এবং তিনি প্রায়ই তার বাড়ী ভারতে যেতেন তা এলাকার সবাই জানে। এলাকায় গিয়ে বাস্তবে তদন্ত করলে এই বিষয়ে সবাই বলবে। (১৬) তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আমির হোসেন আমুর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যে এর ভাতিজা স্বৈরাচারী আন্দলোনের ঘোর বিরোধ ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দলোন দামাতে যাদের পিছনে তিনি লাখ লাখ টাকা ব্যয় করতেন। তার মতামতের বিরুদ্ধে গেলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন। (১৭) তিনি তার সমন্ধির মধ্যে তার শ্বশুড় বাড়ীতে নির্মাণ করেছেন ৪ তলা বাড়ী যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। (১৮) তার সমন্ধির ২ (দুই) মেয়েকে স¤প্রতি কানাডা পাঠিয়েছেন সম্পূর্ণ তার টাকায়। সমন্ধির যে আয় করেন তা দিয়ে কোন ভাবেই কানাডা ২ মেয়ের পড়াশোনা করানো সম্ভব না। তিনি তার সমন্ধির ২ মেয়ের এর মাধ্যমে কানাডা থেকে তারই টাকা সে আবার কানাডা থেকে আবার তারই টাকা এ্যাকাউন্টে আনতেন। তার এ্যাকাউন্ট ইসলামি ব্যাংক আইডিবি শাখায় লেনদেন করতেন যাতে মানুষ বুঝতে না পারে। (১৯) তার বউয়ের বড় ভাই নামে ও তার স্ত্রীর নামে করেছেন ঢাকাতে বিভিন্ন মৌজায় কোটি কোটি টাকার ফ্ল্যাট ও প্লট। (২০) তার কোম্পানি বাংলাদেশে ডেভেলপার নামে জরুরী ভিত্তিতে কিছু লোক নিয়োগ করা হবে বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। (২১) মুন্সিগঞ্জ সদর পৌরসভার রাস্তা ৮০০ মিটার কাজ না করে চূড়ান্ত বিল অনুমোদন করে ঠিকাদার এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কে এম নূরুল ইসলাম নিজে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। (২৩) তিনি এলাকার কোন মানুষকে মানুষই মনে করতেন না। তিনি দলের নেতাকর্মীদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করতেন। (২৬) তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ছিলেন ঘোর বিরোধী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কে এম নূরুল ইসলাম। এলাকাবাসীর কাছে জিজ্ঞেস করলে সবাই তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে।
(২৮) পৌরসভার প্রতিটি কাজ থেকে ঠিকাদারদের নিকট হতে তিনি ৫-১০ ভাগ করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। (৩২) লায়লা নামে এক পিয়ন কর্মচারিকে ক্ষমতার জোরে পিয়ন থেকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন এছাড়া তাকে ভোগ বিলাসের জন্য পশ্চিম আগারগাঁ পানির ট্যাংকির মোড়ে তাসলিমনে ৫ জি ফ্লাট, ফরিদপুর বাইপাস সড়কে ২০০ শতাংশ জমি ক্রয় করে দেন যার মূল্য ৫ কোটি টাকার বেশী। এছাড়াও ১০০টি নিয়োগ বাণিজ্য করে প্রতিটা পিয়ন নিয়োগ দিয়ে ৬ লক্ষ টাকার ঘুষের বিনিময়ে। এভাবে তার দুর্নীতির ফিরিস্তী মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে বলে শোনা যায়। বর্তমান তিনি প্রচুর টাকা দিয়ে বিভিন্ন পলাতক নেতা’কে অবৈধভাবে শেখ হাসিনার সাথে ভারতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলেও তিনি ঝগড়ার এক বিতর্কে আওয়ামী লীগের নেতাকে বকাবকি করেছেন। বর্তমান তাকে দুদকের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে থলের সব বিড়াল বেরিয়ে আসতো। এতে জাতির বড়ই উপকার হত।