ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাফলংয়ে স্বপন বাহিনীর তাণ্ডব শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বোরহানউদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন সমন্বয়‌কের বাড়ির দেয়া‌লে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ লিখে হুমকি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫ ১৬ বছরের জেদ, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই চুল কাটবেন সাবু! পর্যটক সীমিত করলেও নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসেন্টমার্টিনে জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে নিজের মনে করে ব্যবহার করেছেন:রংপুরে জামাতের আমীর
সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবি

কাকরাইলে অবস্থানের ডাক জুবায়েরপন্থিদের

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুবায়েরপন্থিরা।

মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইল মসজিদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।

তিনি বলেন, কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শুরায়ে নেজামীর অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরে সাদপন্থিরা একই কায়দায় একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলিগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদের রক্তাক্ত করেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থিরা তাবলিগি নয় বরং তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী। যারা গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তাদের মূল হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দুঃখের সঙ্গে আরও বলতে হয় যে, ১৭ তারিখের কাল রাতে টঙ্গির মাঠের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, ভিক্টোরিয়া পার্ক মসজিদের খতিব মুফতি আমানুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দু’টি অংশ ‘জুবায়ের’ ও ‘সাদপন্থিদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে, যা এর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষে গড়িয়েছে।

সর্বশেষ ১৭ই ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন।

সেসময় সংঘর্ষের একপর্যায়ে জুবায়েরপন্থিদের ধাওয়া দিয়ে ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নেন সাদপন্থিরা।

পরে জুবায়েরপন্থিরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরের ওপর দায় চাপিয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাফলংয়ে স্বপন বাহিনীর তাণ্ডব

সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবি

কাকরাইলে অবস্থানের ডাক জুবায়েরপন্থিদের

আপডেট সময় ০৫:২৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুবায়েরপন্থিরা।

মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইল মসজিদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।

তিনি বলেন, কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গী ইজতেমার মাঠসহ তাবলিগের সব কার্যক্রম শুরায়ে নেজামীর অধীনে পরিচালিত হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাকরাইল ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বরে সাদপন্থিরা একই কায়দায় একতরফা আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৫ হাজারের মতো তাবলিগ জামাতের সাথী ও ছাত্র শিক্ষকদের রক্তাক্ত করেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে, সাদপন্থিরা তাবলিগি নয় বরং তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী। যারা গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল তাদের মূল হোতাসহ অনেকের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দুঃখের সঙ্গে আরও বলতে হয় যে, ১৭ তারিখের কাল রাতে টঙ্গির মাঠের দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, ভিক্টোরিয়া পার্ক মসজিদের খতিব মুফতি আমানুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দু’টি অংশ ‘জুবায়ের’ ও ‘সাদপন্থিদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে, যা এর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষে গড়িয়েছে।

সর্বশেষ ১৭ই ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন।

সেসময় সংঘর্ষের একপর্যায়ে জুবায়েরপন্থিদের ধাওয়া দিয়ে ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নেন সাদপন্থিরা।

পরে জুবায়েরপন্থিরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরের ওপর দায় চাপিয়েছেন।