ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। আজ (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে লাগবে ১ হাজার ২৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ২১৯ টাকা। অর্থাৎ ১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়েছে ১৬ টাকা। বুধবার সকালে নতুন এ দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আজ দুপুর ১টা থেকে এটি কার্যকর হবে।
বিইআরসি জানায়, বেসরকারি পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য মূসকসহ কেজি প্রতি এলপিজি গ্যাস ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা করা হয়েছে। সে হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে এক হাজার ২৩৫ টাকা। তাই আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি কিনতে গ্রাহককে ১৬ টাকা বেশি গুনতে হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটরগাড়ির জন্য অটোগ্যাসের দামও বর্তমানে মূসকসহ প্রতি লিটার ৫৬ দশমিক ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ দশমিক ৫৫ টাকা করা হয়েছে। জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
সৌদি সিপি অনুসারে সেপ্টেম্বরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম টন প্রতি ৬৫০ এবং ৬৩০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় সেপ্টেম্বরের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ মূল্য ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা ধরে সেপ্টেম্বর মাসে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৬৬ টাকা, ১২ কেজির দাম ১২৩৫ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম ১২৮৬ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১৫৪৪ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১৬৪৬ টাকা, ১৮ কেজির দাম ১৮৫২ টাকা, ২০ কেজির দাম ২০৫৮ টাকা, ২২ কেজির দাম ২২৬৪ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২৫৭১ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩০৮৬ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৩৩৯৬ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৩৬০০ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম চার হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। এর আগে আগস্টে কমলেও জুলাই মাসে এলপিজির দাম বেড়েছিল কেজিতে ১ টাকা। আরও আগে গত ৫ মে এলপিজির দাম কমিয়েছিল বিইআরসি। ওই সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল এক হাজার ৩৩৫ টাকা।