আনোয়ারা উপজেলায় জালাল উদ্দিন(৪৩) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ভোরে মাছের আড়তে মাছ নিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়। সেখানে মারা যায়।
মো: জালাল উদ্দীন উপজেলার ১১ নং জুইদন্ডী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আলতা মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ভোরে মাছের ঘের থেকে মাছ নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে কালাবিবির দিঘির মোড়ের আড়তে যাচ্ছিলেন জালাল উদ্দীন। তাঁদের গাড়িটি শোলকাটার মনু মিয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ১০-১২ জন ব্যক্তি গাড়িটি আটকায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁরা জালালকে কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে জালালের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান হামলাকারীরা।
ওই সময় মসজিদ থেকে বের হওয়া লোকজন এসে জালালকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত জালাল উদ্দীনদের সঙ্গে মাছের ঘেরের দখল নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও আছে। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
নিহত জালাল উদ্দীনের ভাই জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা এলাকায় মাছের ঘের ও মাছের ব্যবসা করি। মাস দেড়েক আগে আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মো. মোকতার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় আমার ভাই বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে মেরে ফেলে। মোকতার ও নুর হোসেনের নেতৃত্বে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’একজন আটক রয়েছে।
ওসি সোহেল আহমেদ আরও বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে এমন ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।