মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার সোজাপাড়া, আশিক্ষাপাড়া, পেরাম পুরো, মংগালাসহ বেশ কিছু এলাকায় ফাটল প্রায় ২ শতাধিক মর্টারশেল; যার প্রভাবে এপারে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত। আতঙ্কিত হচ্ছেন সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা।
জানা গেছে, শনিবার রাত থেকে রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ২ শতাধিক মর্টারশেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করেছেন এলাকাবাসী; যা টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং থেকে সীমান্ত সড়কে বা বাড়ির ছাদে উঠে সরাসরি চোখে দেখা যাচ্ছে। মর্টারশেল ও রকেট লাঞ্চার বিস্ফোরণের ঘটনায় জ্বলছে সোজাপাড়া, অশিক্ষাপাড়া, পেরাম পুরো, মংগালা এলাকার ঘরবাড়ি; আর আকাশে দেখা মিলছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। হতাহত হচ্ছেন বেসামরিক জনগণ।
একটি সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের সরকার বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দখলে নেওয়া সেই আরাকান রাজ্যের পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী। আবার বিদ্রোহীরাও সরকার বাহিনীকে কোনো মতে ছাড় দিচ্ছে না বলে তথ্য রয়েছে। প্রতিটি বিস্ফোরণে ঘরবাড়ি ও এলাকার দালানগুলো কাঁপছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে প্রাণ বাঁচাতে গ্রামগুলো হতে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ; যার কারণে অনেকেই আবারো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ হতে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, মিয়ানমারে বিস্ফোরণে বিকট শব্দ আমাদের এলাকায় ভেসে আসছে। তা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়েছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে যে বিস্ফোরণ হচ্ছে সেজন্য টেকনাফের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবুও সাধারণ মানুষ যেন নির্ভয়ে চলতে পারে এবং সীমান্ত সুরক্ষিত থাকে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ বিজিবি ও কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করছেন।