ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪৮৪ আসন পেতে পারে লেবার পার্টি

আজ যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। ভবিষ্যৎ ব্রিটেন পরিচালনার চাবি কার হাতে যাবে-এরই মধ্যে তা ভেবে নিয়েছেন দেশটির সাধারণ জনগণ। নির্বাচনের ঠিক আগেই করা হয়েছে জরিপ। সেই জরিপে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ক্ষমতাসীন সুনাকের করজারভেটিভ পার্টির। দ্য গার্ডিয়ানের জরিপ অনুসারে, ২ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার, যা লেবার পার্টির প্রায় অর্ধেক। আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি।

প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন অভিবাসীরা : যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অভিবাসীরা। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অভিবাসীদের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলোর শরণার্থী এবং অভিবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। কমনওয়েলথ দেশগুলো হলো সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঞ্চল। এর মধ্যে নাইজেরিয়া, ভারত এবং মালয়েশিয়া থেকে আগত অভিবাসীরা ব্রিটিশ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে জানানো হয়েছে।

স্টুডেন্ট ভিসায় গত বছর যুক্তরাজ্যে যান ভারতীয় শিক্ষার্থী প্রথেশ পালরাজ (২৭)। তিনি এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভারতে যখন নির্বাচন হচ্ছিল তখন আমি যুক্তরাজ্যে থাকায় সেখানে অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যে থেকে অভিবাসী হিসাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছি বলে আনন্দিত।’ পাঞ্জাক নামের আরেক অভিবাসী বলেছেন, ‘আমার দেশে বিদেশিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু যুক্তরাজ্যে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় এসেও ব্রিটিশ নাগরিকদের মতো ভোট দিতে পারছি।’

উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অভিবাসী ইস্যু। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ দলের বর্তমান শীর্ষ নেতা ঋষি সুনাক অবশ্য সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন-অভিবাসী আগমন সংক্রান্ত বিধি কঠোর করা, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানো ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে এসব পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ কনজারভেটিভ পার্টির।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৪৮৪ আসন পেতে পারে লেবার পার্টি

আপডেট সময় ১২:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
আজ যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। ভবিষ্যৎ ব্রিটেন পরিচালনার চাবি কার হাতে যাবে-এরই মধ্যে তা ভেবে নিয়েছেন দেশটির সাধারণ জনগণ। নির্বাচনের ঠিক আগেই করা হয়েছে জরিপ। সেই জরিপে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ক্ষমতাসীন সুনাকের করজারভেটিভ পার্টির। দ্য গার্ডিয়ানের জরিপ অনুসারে, ২ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার, যা লেবার পার্টির প্রায় অর্ধেক। আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি।

প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন অভিবাসীরা : যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অভিবাসীরা। বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অভিবাসীদের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলোর শরণার্থী এবং অভিবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। কমনওয়েলথ দেশগুলো হলো সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অঞ্চল। এর মধ্যে নাইজেরিয়া, ভারত এবং মালয়েশিয়া থেকে আগত অভিবাসীরা ব্রিটিশ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য বলে জানানো হয়েছে।

স্টুডেন্ট ভিসায় গত বছর যুক্তরাজ্যে যান ভারতীয় শিক্ষার্থী প্রথেশ পালরাজ (২৭)। তিনি এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভারতে যখন নির্বাচন হচ্ছিল তখন আমি যুক্তরাজ্যে থাকায় সেখানে অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যে থেকে অভিবাসী হিসাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছি বলে আনন্দিত।’ পাঞ্জাক নামের আরেক অভিবাসী বলেছেন, ‘আমার দেশে বিদেশিদের ভোট দেওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু যুক্তরাজ্যে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় এসেও ব্রিটিশ নাগরিকদের মতো ভোট দিতে পারছি।’

উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অভিবাসী ইস্যু। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ দলের বর্তমান শীর্ষ নেতা ঋষি সুনাক অবশ্য সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন-অভিবাসী আগমন সংক্রান্ত বিধি কঠোর করা, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুয়ান্ডা পাঠানো ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে এসব পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে খোদ কনজারভেটিভ পার্টির।