হামাস ও ইসরাইলের চলমান সংঘাতের মধ্যেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ রুশ বার্তাসংস্থা তাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট কবে রাশিয়া যাবেন তা জানাননি উশাকভ। তবে তার সফরের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত বছর নভেম্বরে মস্কো সফরে আসার কথা ছিল আব্বাসের, কিন্তু সেবার ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের অনুরোধে সেই সফর স্থগিত করেছিলেন তিনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ বর্বরতায় ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৬ হাজারেরও বেশি।
ইসরাইলি আগ্রাসনে শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেম— তিন ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ক্ষমতাসীন রয়েছে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ সরকার, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটি-পিএ) নামে পরিচিত। ফিলিস্তিনের বৈধ শাসক হিসেবে পিএকেই স্বীকৃত দেয় বহির্বিশ্ব।
একসময় গাজায় উপত্যকায়ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সরকার ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু ২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই সরকারকে উচ্ছেদ করে সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফের অভিযান শুরুর পর থেকে সহিংসতা বেড়েছে পশ্চিম তীরেও। ইসরাইলি পুলিশ ও ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের হাতে নিয়মিত সহিংসতার শিকার হচ্ছেন পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা।