ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট সেজে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আগ্রার এক জিম প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। সাহিল শর্মা নামের সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করেছে আগ্রা পুলিশ।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আগ্রার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) সুরজ রাই টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জিম প্রশিক্ষক ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারীর বিবৃতি রেকর্ড করার জন্য তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন, তবে তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সিকান্দরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীরাজ শর্মা জানান, অভিযুক্ত সাহিল শর্মা ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন এবং ২০২৪ সালের মার্চ মাসে আগ্রার একটি হোটেলে তার সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় সাহিল ওই নারীর পানীয়ের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে তাকে সংজ্ঞাহীন করে ফেলেন এবং তার ওপর যৌন নির্যাতন চালান।
চেতনায় ফিরে এলে অভিযুক্ত সাহিল নিজেকে র-এর এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন এবং তাকে ভয় দেখান। এমনকি তিনি তাদের বিয়ের কথাও বলেন।
ঘটনার পড় ভুক্তভোগী নারী কানাডায় ফিরে যান। তবে সাহিল এরপরও তার সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং বারবার তাকে মনে করিয়ে দেন যে তিনি র-এর হয়ে কাজ করেন।
গত আগস্টে সাহিল তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় করানোর কথা বলে ওই নারীকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। তবে ভারতে আসার পর আগ্রা এবং নয়াদিল্লিতে সাহিল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
এরপর সাহিল তার বন্ধু আরিফ আলীর সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় করিয়ে দেন। আরিফ একটি হোটেলের বাথরুমে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালান। পরে ওই নারী জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানার পর সাহিল তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ও কল মুছে ফেলতে বাধ্য করেন। সাহিল দাবি করেছিলেন যে, ‘র’ এজেন্ট হওয়ার কারণে তার পরিচয় গোপন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।