ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাফলংয়ে স্বপন বাহিনীর তাণ্ডব শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বোরহানউদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন সমন্বয়‌কের বাড়ির দেয়া‌লে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ লিখে হুমকি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫ ১৬ বছরের জেদ, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই চুল কাটবেন সাবু! পর্যটক সীমিত করলেও নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসেন্টমার্টিনে জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে নিজের মনে করে ব্যবহার করেছেন:রংপুরে জামাতের আমীর

রুশ পরিত্যক্ত খেরসন ফিরে পাওয়াকে ঐতিহাসিক আখ্যা জেলেনস্কির

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনের দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে নিজেদের সব সৈন্য পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। এরপরই সেখানে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাশিয়ার ফেলে যাওয়া এই শহরকে ফিরে পাওয়া ইউক্রেনের জন্য ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আগ্রাসন শুরুর পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর এবং বন্দরনগরী খেরসন দখল করে নেয় রাশিয়া। এছাড়া প্রথম বড় কোনো ইউক্রেনীয় শহর হিসেবে খেরসন দখল করেছিল রুশ সেনারা। এর প্রায় দুই মাসের মাথায় খেরসনের পুরো অঞ্চলটি দখলে নেয় মস্কোর বাহিনী।

প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দার খেরসন শহর ও অঞ্চলটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে যাওয়া মস্কোর জন্য বড় ধরনের এক বিজয় বলে মনে করা হয়েছিল। মূলত রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটিও ছিল এই শহরটি।

মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার মোতায়েন করা সব সৈন্য ও যুদ্ধের সরঞ্জাম দিনিপ্রোর বাম অথবা পূর্ব দিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর ৫টার মধ্যে খেরসন থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়।

এএফপি বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে রুশ সেনাদের দখল করা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী ছিল খেরসন। শুক্রবার রুশ সেনারা সেটি পরিত্যাগ করার পর শহরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের স্বাগত জানান।

এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চল ফিরে পাচ্ছি, আমরা খেরসনকে ফিরে পাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমাদের সেনারা শহরের উপকণ্ঠে রয়েছে, এবং আমরা শহরে প্রবেশের খুব কাছাকাছি রয়েছি। তবে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট ইতোমধ্যেই শহরে অবস্থান করছে।’

জেলেনস্কি বলেন, খেরসনকে নিরাপদ করার ব্যবস্থা, বিশেষ করে শহরে পুঁতে রাখা প্রচুর মাইন অপসারণের প্রচেষ্টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রের সর্বত্র তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। তবে এর বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।

এর আগে, গত বুধবার খেরসন অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেয় রাশিয়া। সেই সময় মস্কো জানায়, ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান পাল্টা আক্রমণের মুখে আঞ্চলিক রাজধানী খেরসনের ভৌগলিক অবস্থান বজায় রাখা এবং সেখানে সৈন্য সরবরাহের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

অবশ্য খেরসন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের গতি যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের হাত থেকে এই অঞ্চলের দখল ছিনিয়ে নেওয়ার চেয়েও বেশি ছিল। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের এই গতি প্রত্যাশিতই ছিল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাফলংয়ে স্বপন বাহিনীর তাণ্ডব

রুশ পরিত্যক্ত খেরসন ফিরে পাওয়াকে ঐতিহাসিক আখ্যা জেলেনস্কির

আপডেট সময় ১০:৩৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনের দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে নিজেদের সব সৈন্য পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। এরপরই সেখানে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাশিয়ার ফেলে যাওয়া এই শহরকে ফিরে পাওয়া ইউক্রেনের জন্য ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আগ্রাসন শুরুর পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর এবং বন্দরনগরী খেরসন দখল করে নেয় রাশিয়া। এছাড়া প্রথম বড় কোনো ইউক্রেনীয় শহর হিসেবে খেরসন দখল করেছিল রুশ সেনারা। এর প্রায় দুই মাসের মাথায় খেরসনের পুরো অঞ্চলটি দখলে নেয় মস্কোর বাহিনী।

প্রায় ৩ লাখ বাসিন্দার খেরসন শহর ও অঞ্চলটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে যাওয়া মস্কোর জন্য বড় ধরনের এক বিজয় বলে মনে করা হয়েছিল। মূলত রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটিও ছিল এই শহরটি।

মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার মোতায়েন করা সব সৈন্য ও যুদ্ধের সরঞ্জাম দিনিপ্রোর বাম অথবা পূর্ব দিকে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার মস্কোর স্থানীয় সময় ভোর ৫টার মধ্যে খেরসন থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়।

এএফপি বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে রুশ সেনাদের দখল করা একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী ছিল খেরসন। শুক্রবার রুশ সেনারা সেটি পরিত্যাগ করার পর শহরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের স্বাগত জানান।

এরপরই শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আমরা দেশের দক্ষিণাঞ্চল ফিরে পাচ্ছি, আমরা খেরসনকে ফিরে পাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমাদের সেনারা শহরের উপকণ্ঠে রয়েছে, এবং আমরা শহরে প্রবেশের খুব কাছাকাছি রয়েছি। তবে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট ইতোমধ্যেই শহরে অবস্থান করছে।’

জেলেনস্কি বলেন, খেরসনকে নিরাপদ করার ব্যবস্থা, বিশেষ করে শহরে পুঁতে রাখা প্রচুর মাইন অপসারণের প্রচেষ্টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রের সর্বত্র তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। তবে এর বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।

এর আগে, গত বুধবার খেরসন অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দেয় রাশিয়া। সেই সময় মস্কো জানায়, ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান পাল্টা আক্রমণের মুখে আঞ্চলিক রাজধানী খেরসনের ভৌগলিক অবস্থান বজায় রাখা এবং সেখানে সৈন্য সরবরাহের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

অবশ্য খেরসন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের গতি যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের হাত থেকে এই অঞ্চলের দখল ছিনিয়ে নেওয়ার চেয়েও বেশি ছিল। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের এই গতি প্রত্যাশিতই ছিল।