ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারের হাতে রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণের চেরাগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা সারাদেশে গ্যাসের চাপ কম থাকবে ৭২ ঘণ্টা স্ত্রীসহ রিজেন্সি হোটেলের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চার দেশের ভূখণ্ড নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দাবি, ফ্যাক্টচেকে যা জানা গেল বিএনপির ২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শুনানি হচ্ছে না আজ বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে : আমিনুল হক ক্রসফায়ারে ২২৭৬ নেতাকর্মী হত্যার অভিযোগ বিএনপির, প্রধান আসামি হাসিনা চীনা পররাষ্টমন্ত্রীর সফরের মাঝেই চাদে প্রেসিডেন্ট ভবনে হামলা, নিহত ১

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিব্রত আহমেদ শরীফ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন বরেণ্য খল-অভিনেতা আহমেদ শরীফ। সম্প্রতিই তিনি দেশে ফিরেছেন। এই অভিনেতার দেশে ফেরার পর পরই নতুন এক গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে। তিনি নাকি ২০২৪-২৫ শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই জ্যেষ্ঠ শিল্পী গত বুধবার রাতে সমিতির অফিসে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। সমিতি ঘিরে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দেন।

আহমেদ শরীফ মনে করেন, ‘সিনেমা নিয়ে সবার আগে আলোচনা হওয়া দরকার। কেন আমরা বিশ্বমানের বেশি বেশি সিনেমা তৈরি করতেন পারছি না— এ কথা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। নির্বাচন ঘিরে যা হচ্ছে, এতে সাধারণ মানুষের মনে সিনেমা ও শিল্পীর ওপর সাধারণ মানুষের নেগেটিভ ধারণার জন্ম হচ্ছে।

আহমেদ শরীফ বলেন, আগে এত সংগঠন ছিল না। শিল্পীকে কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হতো। যখন নির্বাচন হতো, এফডিসিতে শিল্পীদের সমাগমে ঈদের আমেজ বিরাজ করত। উৎসবের আমেজে তারকা শিল্পীরা ভোট দিতে আসতেন।

প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্বার্থরক্ষা ও সবাইকে এক সুতায় গাঁথতে প্রয়াত সুপারস্টার নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আনুষ্ঠানিক কমিটি গঠিত নির্বাচিত হওয়ার আগে আহ্বায়ক ছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। পরে শিল্পীদের ভোটে নায়করাজ রাজ্জাক সভাপতি হয়েছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদক হন আহমেদ শরীফ।

স্মৃতিচারণা করে আহমেদ শরীফ জানান, তখনকার নির্বাচনগুলোতে ছিল না কোনো পক্ষ-বিপক্ষ, প্যানেল কালচার এবং নির্বাচন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনারও সুযোগ ছিল না। এমনকি শিল্পী নির্বাচনে পুলিশি পাহারা দেওয়া হতো না! ফল যা–ই হতো, শিল্পীরা তা মেনে নিয়ে ভোটের পর আবার একসঙ্গে কাজে নেমে পড়তেন। এখনকার নির্বাচন ও পরবর্তী ঘটনাগুলো লজ্জাজনক।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি নির্বাচনি ফলের ফয়সালা করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত যেতে হচ্ছে প্রার্থীদের। এটা সত্যিই দুঃখজনক এবং লজ্জার বিষয়।

আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আমি আমেরিকায় থাকি। সেখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা হলে আগে তারা সিনেমার খবর নিত। এখন সিনেমার কথা না জিজ্ঞেস করে এফডিসির নির্বাচন ও গণ্ডগোল নিয়ে জিজ্ঞাসা করে। এতে আমি বিব্রত হই। তাদের বলি, আমি তো এই সংগঠনের নির্বাচন করি না। আবার আমেরিকা প্রবাসীরা আমাকে বলে, “আপনাদের সময় তো এমন হতো না। এখন কেন হচ্ছে এমন বিশৃঙ্খলা?” এসব জানতে চাইলে বিব্রত হই। লজ্জায় সঠিক উত্তর দিতে পারি না।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর গুঞ্জন— শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণের প্যানেল থেকে প্রার্থী হতে পারেন আহমেদ শরীফ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কোনো প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেব কিনা, এর জন্য সিদ্ধান্ত নিতে আমার আরও সময় প্রয়োজন।’

আগামী এপ্রিলের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারের হাতে রাতারাতি বাজার নিয়ন্ত্রণের চেরাগ নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিব্রত আহমেদ শরীফ

আপডেট সময় ০৩:১৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন বরেণ্য খল-অভিনেতা আহমেদ শরীফ। সম্প্রতিই তিনি দেশে ফিরেছেন। এই অভিনেতার দেশে ফেরার পর পরই নতুন এক গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে। তিনি নাকি ২০২৪-২৫ শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই জ্যেষ্ঠ শিল্পী গত বুধবার রাতে সমিতির অফিসে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। সমিতি ঘিরে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ দেন।

আহমেদ শরীফ মনে করেন, ‘সিনেমা নিয়ে সবার আগে আলোচনা হওয়া দরকার। কেন আমরা বিশ্বমানের বেশি বেশি সিনেমা তৈরি করতেন পারছি না— এ কথা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। নির্বাচন ঘিরে যা হচ্ছে, এতে সাধারণ মানুষের মনে সিনেমা ও শিল্পীর ওপর সাধারণ মানুষের নেগেটিভ ধারণার জন্ম হচ্ছে।

আহমেদ শরীফ বলেন, আগে এত সংগঠন ছিল না। শিল্পীকে কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হতো। যখন নির্বাচন হতো, এফডিসিতে শিল্পীদের সমাগমে ঈদের আমেজ বিরাজ করত। উৎসবের আমেজে তারকা শিল্পীরা ভোট দিতে আসতেন।

প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রশিল্পীদের স্বার্থরক্ষা ও সবাইকে এক সুতায় গাঁথতে প্রয়াত সুপারস্টার নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আনুষ্ঠানিক কমিটি গঠিত নির্বাচিত হওয়ার আগে আহ্বায়ক ছিলেন খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। পরে শিল্পীদের ভোটে নায়করাজ রাজ্জাক সভাপতি হয়েছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদক হন আহমেদ শরীফ।

স্মৃতিচারণা করে আহমেদ শরীফ জানান, তখনকার নির্বাচনগুলোতে ছিল না কোনো পক্ষ-বিপক্ষ, প্যানেল কালচার এবং নির্বাচন ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনারও সুযোগ ছিল না। এমনকি শিল্পী নির্বাচনে পুলিশি পাহারা দেওয়া হতো না! ফল যা–ই হতো, শিল্পীরা তা মেনে নিয়ে ভোটের পর আবার একসঙ্গে কাজে নেমে পড়তেন। এখনকার নির্বাচন ও পরবর্তী ঘটনাগুলো লজ্জাজনক।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি নির্বাচনি ফলের ফয়সালা করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত যেতে হচ্ছে প্রার্থীদের। এটা সত্যিই দুঃখজনক এবং লজ্জার বিষয়।

আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আমি আমেরিকায় থাকি। সেখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা হলে আগে তারা সিনেমার খবর নিত। এখন সিনেমার কথা না জিজ্ঞেস করে এফডিসির নির্বাচন ও গণ্ডগোল নিয়ে জিজ্ঞাসা করে। এতে আমি বিব্রত হই। তাদের বলি, আমি তো এই সংগঠনের নির্বাচন করি না। আবার আমেরিকা প্রবাসীরা আমাকে বলে, “আপনাদের সময় তো এমন হতো না। এখন কেন হচ্ছে এমন বিশৃঙ্খলা?” এসব জানতে চাইলে বিব্রত হই। লজ্জায় সঠিক উত্তর দিতে পারি না।’

যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর গুঞ্জন— শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণের প্যানেল থেকে প্রার্থী হতে পারেন আহমেদ শরীফ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কোনো প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেব কিনা, এর জন্য সিদ্ধান্ত নিতে আমার আরও সময় প্রয়োজন।’

আগামী এপ্রিলের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচন।