মাত্রই কয়েকদিন আগে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারের মালিকানা নিয়েছেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। এরপর সংস্থাটিতে নানা পরিবর্তনের ঘটনা ঘটছে, ঘটছে ছাঁটাইয়ের ঘটনাও।
এই পরিস্থিতিতে ‘টুইটারের ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রে মানবাধিকার নিশ্চিত’ করতে সংস্থাটির নতুন মালিক ইলন মাস্কের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ। রোববার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স বলছে, টুইটার ইনকর্পোরেটেড শুক্রবার তার অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার এই কোম্পানির কর্মীদের টুইটে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের জন্য দায়িত্বশীল দলটি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে। আর এই ঘটনাকে (নতুন মালিকের অধীনে) ‘উৎসাহজনক শুরু’ নয় বলে উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।
ভলকার তুর্ক চিঠিতে বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হিসেবে টুইটার বৈশ্বিক বিপ্লবের অংশ। এটা আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশাল পরিবর্তন এনেছে। তবে আমি আমাদের ডিজিটাল পাবলিক স্কোয়ার এবং এতে টুইটারের ভূমিকা সম্পর্কে আমার উদ্বেগ ও শঙ্কা নিয়ে লিখছি।’
এর আগে গত শুক্রবার টুইটার তার অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করে। অবশ্য প্রতিষ্ঠানটির নতুন মালিক ও সিইও ইলন মাস্কের দাবি, অন্যকোনো উপায় না থাকায় টুইটার থেকে অর্ধেক লোকবল ছাঁটাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে একটি কোম্পানি দৈনিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান গুনছে, সেখানে কর্মী ছাঁটাই ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তবে ঘটনা যাই হোক, শুক্রবারের এই ছাঁটাই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের অধীনে টুইটারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশৃঙ্খলা এবং অনিশ্চয়তাকে সামনে এনেছে। গত শুক্রবার এক টুইটে মাস্ক দাবি করেছেন, জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মটি ‘রাজস্বের ব্যাপক হ্রাস’ অনুভব করছে।