ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ঢুকল হাজার হাজার টিকা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শিশুদের বিভিন্ন শৈশবকালীন রোগের হাজার হাজার টিকা প্রবেশ করেছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং দিয়ে এসব টিকা সেখানে প্রবেশ করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

অক্টোবরে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হলে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। ফলে শিশুদের মাঝে উচ্চ সংক্রামক বিভিন্ন রোগের টিকাদানও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও যুদ্ধ শুরুর আগে গণটিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় যে পরিমাণ টিকা এসেছে সেগুলো দিয়ে ৮ থেকে ১৪ মাস টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করা যাবে। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে এসব টিকা গাজায় প্রবেশ করেছে।

মূলত রুবেলা, পোলিও, হাম, মাম্পসসহ বেশ কয়েকটি রোগের টিকা গাজায় এসেছে। এসব টিকার কিছু ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেনা। আবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফও কিছু দান করেছে।

রামাল্লার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ইয়াসির বাউজিয়া বলেছেন, গাজায় বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার নবজাতক রয়েছে। তাদের সাধারণত টিকা পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় তাদের টিকা দেওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, শিশুদের টিকা দেওয়া বেশ কঠিন হবে। কারণ গাজার বেশিরভাগ মানুষকে বাড়িঘর ছাড়া করা হয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাঁবু বা অন্যান্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ঢুকল হাজার হাজার টিকা

আপডেট সময় ০৩:৩৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শিশুদের বিভিন্ন শৈশবকালীন রোগের হাজার হাজার টিকা প্রবেশ করেছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং দিয়ে এসব টিকা সেখানে প্রবেশ করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

অক্টোবরে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হলে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। ফলে শিশুদের মাঝে উচ্চ সংক্রামক বিভিন্ন রোগের টিকাদানও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও যুদ্ধ শুরুর আগে গণটিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় যে পরিমাণ টিকা এসেছে সেগুলো দিয়ে ৮ থেকে ১৪ মাস টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করা যাবে। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে এসব টিকা গাজায় প্রবেশ করেছে।

মূলত রুবেলা, পোলিও, হাম, মাম্পসসহ বেশ কয়েকটি রোগের টিকা গাজায় এসেছে। এসব টিকার কিছু ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেনা। আবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফও কিছু দান করেছে।

রামাল্লার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ইয়াসির বাউজিয়া বলেছেন, গাজায় বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার নবজাতক রয়েছে। তাদের সাধারণত টিকা পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় তাদের টিকা দেওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, শিশুদের টিকা দেওয়া বেশ কঠিন হবে। কারণ গাজার বেশিরভাগ মানুষকে বাড়িঘর ছাড়া করা হয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাঁবু বা অন্যান্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন।