গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লাহোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহত অবস্থাতেই হুইল চেয়ারে বসে শুক্রবার কথা বলেন পিটিআই চেয়ারম্যান। তিনি জানিয়েছেন, তাকে যে দুজন শ্যুটার গুলি করেছিল তার মধ্যে একজন মনে করেছিল তিনি মরে গেছেন। ফলে সে চলে যায়। এতেই বেঁচে যান তিনি।
আগাম নির্বাচনের দাবিতে ২৮ অক্টোবর নিজ সমর্থকদের নিয়ে একটি কনটেইনারে করে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার তাকে বহনকারী কনটেইনার ওয়াজিরাবাদে পৌঁছালে গুলি চালায় দুই হামলাকারী। এ ঘটনায় অন্তত একটি গুলি তার পায়ে লাগে।
সেদিনের হামলা নিয়ে ইমরান খান বলেছেন, ‘যদি দুই হামলাকারী একই সময়ে পরিকল্পনা করে হামলা চালাত তাহলে হয়ত আমি বাঁচতাম না। যখন আমি পড়ে যাই, তাদের মধ্যে একজন শ্যুটার মনে করেছিল আমি মরে গেছি, এরপর সে চলে যায়।
এদিকে ইমরান খানের ওপর হামলার পর এক হামলাকারীকে আটক করতে সমর্থ হয় পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হামলাকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করার কথা স্বীকার করে। তাছাড়া কেন তাকে গুলি করেছে সে বিষয়টিও জানায় সে।
হামলার ব্যাপারে আটককৃত হামলাকারী বলে, ‘ইমরান খান মানুষকে ভুল পথে চালিত করছিল। এ কারণে তাকে আমি হত্যা করতে চেয়েছিলাম।’