ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিআইইউ’তে ‘আল ঈমান ফাউন্ডেশনের’ বিনামূল্যে কুরআন বিতরণ নওগাঁয় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে মিলছে টিসিবি’র পণ্য মধ্যরাত থেকে লাইনে অপেক্ষা বোরহানউদ্দিন প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় বাইউস্ট গ্লোবাল অ্যাফেয়ারস কাউন্সিলে ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভিয়েতনাম থেকে এসেছে ২৯ হাজার টন চাল মানিকগঞ্জে বিশ্ব পানি দিবস পালিত অজানা এক ইতিহাস টাকশাল নগরী মাহিসন্তোষ- ধামইরহাট, নওগাঁ বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়িতে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা, আটক ১ ময়মনসিংহ ভালুকায় হাসিনা ও কাদেরসহ ৩৯৫ জনের নামে হত্যা মামলা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৫ বাংলাদেশী নাগরিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

খুনি-মাদক কারবারীদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠাচ্ছেন ‍পুতিন

ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনায় এখন জেলফেরত খুনি ও মাদক কারবারীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সামরিক অভিযান চালাতে গত ফেব্রুয়ারিতে নিজের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠান পুতিন। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে আট মাস। কিন্তু এখনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি।

বিবিসি বলেছে, অপরাধীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করতে প্রেসিডেন্ট পুতিন আইন সংশোধন করেছেন। সংশোধিত আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদেরও সেনাবাহিনীতে (রিজার্ভ ফোর্সে) যুক্ত করার বিষয়টি রাখা হয়েছে। তবে জঙ্গিবাদ ও শিশু যৌন নির্যাতনের অপরাধে জেলখাটাদের এ আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।

এদিকে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের গঠিত একটি কমিশন জানায়, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিকদের হত্যা এবং যৌন নির্যাতন। ইউক্রেনও দাবি করেছে, রুশ সেনারা হাজার হাজার যুদ্ধাপরাধ করেছে। এখন দণ্ডপ্রাপ্তদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোয় এ ধরনের অপরাধ আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সেপ্টেম্বরেই খবর বের হয় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ জেলবন্দিদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোজিন জেলবন্দিদের প্রস্তাব দিচ্ছেন- যদি তারা ছয় মাস ইউক্রেনে যুদ্ধ করে তাহলে তাদের সাজা মওকুফ করে দেওয়া হবে।

আগে ওয়াগনার গ্রুপ গোপনে তাদের কার্যক্রম চালালেও এখন প্রকাশ্যে তারা সদস্য সংগ্রহ করছে। এ শুক্রবারই সেন্ট পিটার্সবার্গে নিজেদের অফিস খুলেছে ওয়াগনার।

এদিকে এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । এরপর পুরো রাশিয়াজুড়ে সেনা সমাবেশের কার্যক্রম চলে। সেপ্টেম্বরের শেষে এ কার্যক্রম শেষ হয়।

প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে যেসব সেনা সমাবেশ করা হয়েছিল তার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৯ হাজার সেনা ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশ নিতে চলে গেছে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিআইইউ’তে ‘আল ঈমান ফাউন্ডেশনের’ বিনামূল্যে কুরআন বিতরণ

খুনি-মাদক কারবারীদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠাচ্ছেন ‍পুতিন

আপডেট সময় ১০:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনায় এখন জেলফেরত খুনি ও মাদক কারবারীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সামরিক অভিযান চালাতে গত ফেব্রুয়ারিতে নিজের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠান পুতিন। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে আট মাস। কিন্তু এখনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামেনি।

বিবিসি বলেছে, অপরাধীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করতে প্রেসিডেন্ট পুতিন আইন সংশোধন করেছেন। সংশোধিত আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদেরও সেনাবাহিনীতে (রিজার্ভ ফোর্সে) যুক্ত করার বিষয়টি রাখা হয়েছে। তবে জঙ্গিবাদ ও শিশু যৌন নির্যাতনের অপরাধে জেলখাটাদের এ আইনের বাইরে রাখা হয়েছে।

এদিকে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের গঠিত একটি কমিশন জানায়, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিকদের হত্যা এবং যৌন নির্যাতন। ইউক্রেনও দাবি করেছে, রুশ সেনারা হাজার হাজার যুদ্ধাপরাধ করেছে। এখন দণ্ডপ্রাপ্তদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোয় এ ধরনের অপরাধ আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সেপ্টেম্বরেই খবর বের হয় রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ জেলবন্দিদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করছে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোজিন জেলবন্দিদের প্রস্তাব দিচ্ছেন- যদি তারা ছয় মাস ইউক্রেনে যুদ্ধ করে তাহলে তাদের সাজা মওকুফ করে দেওয়া হবে।

আগে ওয়াগনার গ্রুপ গোপনে তাদের কার্যক্রম চালালেও এখন প্রকাশ্যে তারা সদস্য সংগ্রহ করছে। এ শুক্রবারই সেন্ট পিটার্সবার্গে নিজেদের অফিস খুলেছে ওয়াগনার।

এদিকে এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । এরপর পুরো রাশিয়াজুড়ে সেনা সমাবেশের কার্যক্রম চলে। সেপ্টেম্বরের শেষে এ কার্যক্রম শেষ হয়।

প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে যেসব সেনা সমাবেশ করা হয়েছিল তার মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৯ হাজার সেনা ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশ নিতে চলে গেছে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত