ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে কথা হল জার্মান চ্যান্সেলরের

পশ্চিমাদের সমালোচনা উপেক্ষা করে চীন সফর করছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মানির সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।খবর বিবিসির।

বেইজিংয়ে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পর  শি জিনপিং বলেছেন, পরিবর্তিত এবং অস্থির এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

জার্মান চ্যান্সেলর দুই দেশের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক যোগাযোগ ও প্রতিদানের সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলেন।শোলৎজ চীনকে আরও অনুরোধ করেন, ইউক্রেনে বেসামরিক মানুষের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করতে তিনি যেন মস্কোর ওপর তার প্রভাব খাটান।

তিন বছর পর জি-৭ জোটের তিনিই প্রথম নেতা যিনি বেইজিং সফরে গেলেন।কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট তৃতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় নিজেকে বহাল করার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই শোলৎজের বেইজিং সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে জার্মানির ভিতর এবং ইউরোপের অন্যত্র বিতর্ক আর সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বার্লিনের সরকারের মধ্যে এই সফর নিয়ে নজিরবিহীন ও তিক্ত বিতণ্ডা চলছে। চীনের একটি কোম্পানি হামবুর্গ বন্দরের একটি শিপিং টার্মিনালে অর্থ লগ্নি করতে চাইছে। সরকারের ছয় মন্ত্রী এই খবরে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, এই চুক্তি হলে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর চীনের বড় ধরনের প্রভাব তৈরি হবে। জার্মানির নিরাপত্তা বিভাগও এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর এই চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে কার্যত অনড়। বলা হচ্ছে তিনি চুক্তির একটা কাঠামো দিয়েছেন যাতে এই বিনিয়োগের অঙ্ক এবং বন্দরের যে অংশ চীনকে দেয়া হবে তার আকার কমিয়ে ২৪.৯ শতাশে নামিয়ে এনেছেন, যাতে চীনের প্রভাব কম থাকে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে কথা হল জার্মান চ্যান্সেলরের

আপডেট সময় ০৯:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

পশ্চিমাদের সমালোচনা উপেক্ষা করে চীন সফর করছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মানির সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।খবর বিবিসির।

বেইজিংয়ে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের পর  শি জিনপিং বলেছেন, পরিবর্তিত এবং অস্থির এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

জার্মান চ্যান্সেলর দুই দেশের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক যোগাযোগ ও প্রতিদানের সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলেন।শোলৎজ চীনকে আরও অনুরোধ করেন, ইউক্রেনে বেসামরিক মানুষের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করতে তিনি যেন মস্কোর ওপর তার প্রভাব খাটান।

তিন বছর পর জি-৭ জোটের তিনিই প্রথম নেতা যিনি বেইজিং সফরে গেলেন।কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট তৃতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় নিজেকে বহাল করার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই শোলৎজের বেইজিং সফরের সিদ্ধান্ত নিয়ে জার্মানির ভিতর এবং ইউরোপের অন্যত্র বিতর্ক আর সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বার্লিনের সরকারের মধ্যে এই সফর নিয়ে নজিরবিহীন ও তিক্ত বিতণ্ডা চলছে। চীনের একটি কোম্পানি হামবুর্গ বন্দরের একটি শিপিং টার্মিনালে অর্থ লগ্নি করতে চাইছে। সরকারের ছয় মন্ত্রী এই খবরে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

তারা যুক্তি দেখাচ্ছেন, এই চুক্তি হলে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর চীনের বড় ধরনের প্রভাব তৈরি হবে। জার্মানির নিরাপত্তা বিভাগও এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু জার্মান চ্যান্সেলর এই চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে কার্যত অনড়। বলা হচ্ছে তিনি চুক্তির একটা কাঠামো দিয়েছেন যাতে এই বিনিয়োগের অঙ্ক এবং বন্দরের যে অংশ চীনকে দেয়া হবে তার আকার কমিয়ে ২৪.৯ শতাশে নামিয়ে এনেছেন, যাতে চীনের প্রভাব কম থাকে।