পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দেহে দুটি গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের (পিটিআই) নেত্রী ডা. ইয়াসমিন রশিদ।
বর্তমানে লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইমরান খান। শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পিটিআইয়ের পাঞ্জাব প্রেসিডেন্ট ডা. ইয়াসমিন। খবর জিওটিভির। ইমরান খানের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানান এ চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার করাচি থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে ওয়াজিরাবাদের গুজরানওয়ালার আল্লাহ হো চকের কাছে ইমরান খানের ওপর গুলি চালানো হয়।
পুলিশ প্রথমে জানিয়ে ছিল, হামলায় ইমরান খানের পায়ে তিনটি গুলি লেগেছে। তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পায়ে গুলিবিদ্ধ ইমরানের জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত অবস্থায় রয়েছেন। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, ইমরান খানকে ট্রাক থেকে বের করে অন্য একটি গাড়িতে তোলা হচ্ছে। সেই সময় দেখা যায়, তার ডান পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে।
কিন্তু তিনি সজ্ঞানে ছিলেন, কথাবার্তা বলছিলেন এবং দলের কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন। এদিকে হামলার পর আহত ইমরান বলেছেন, ‘আল্লাহ আমাকে আরও একটি জীবন দিয়েছেন।’ এ বার্তা তিনি হাসপাতালে যাওয়ার আগে দিয়েছেন বলে তার দলের নেতাকর্মীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এ সময় ইমরান বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আমি ফের লড়াই করে ফিরব।’
ইমরান খানকে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বছর তিরিশের যুবক ইবতিসাম। ইমরানের ওপর যখন গুলি হামলা চালানো হচ্ছিল, তখন হামলাকারীর ঠিক পেছনেই ছিলেন তিনি। ঠিক সময়ে হামলাকারী যুবকের বন্দুক ধরা হাতটি টেনে নেন তিনি। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ছয় রাউন্ড গুলি, যা হয়তো ইমরানের বুকে লাগতে পারত।
তবে তা লাগেনি। তার বদলে গুলি এসে লাগে ইমরানের পায়ে। জখম হলেও এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। হামলা করার মুহূর্তের একটি ছবি বন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখানে বন্দুক হাতে দেখা যাচ্ছে হামলাকারীকে। তবে তার বন্দুকটির নল আকাশের দিকে তাক করা। কারণ পেছন থেকে তার বন্দুক ধরা হাতটি টেনে ধরেছেন ইবতিসাম নামে ওই যুবক।