যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের (সংসদের নিম্নকক্ষ) ৪৩৫টি আসনের সবগুলোতে নির্বাচন হবে। অন্যদিকে সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হবে।
বলা হচ্ছে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের (সংসদের নিম্নকক্ষ) নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন জো বাইডেন ও তার দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তাদের জায়গায় সংসদের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির হাতে।
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, মিথ্যা এবং সহিংসতার কারণে ঝুঁকিতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র। এরজন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন বাইডেন।ওয়াশিংটন ডিসিতে দলের একটি বৈঠকে সাবেক প্রেসিডেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের কারণেই গণতন্ত্র ঝুঁকিতে পড়েছে।
বাইডেন বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্পের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং মিথ্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থা হুমকির মুখে আছে। এদিকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যদেরই আবার নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, ‘কোনো ভুল করবেন না। গণতন্ত্র এখন ব্যালটে।’ ওয়াশিংটন ডিসিতে ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কমিটির বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও বলেন, ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা আগেই নির্বাচনের ফলাফল না মানার যে হুমকি দিয়েছে এটি গণতন্ত্রকে হুমকি দেওয়ার সামিল।
তিনি বলেছেন, এই শক্তিটি (ট্রাম্পের দল) এখন সাফল্য পেতে যাচ্ছে সেখানে, যেখানে ২০২০ সালে তারা ভোটারদের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলার পথ তৈরি করবে, এটি নজিরহীন, অবৈধ এবং এটি অযুক্তরাষ্ট্রীয়।
এদিকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তার সমর্থকরা গত বছরের ৬ জানুয়ারী ক্যাপিটলে হামলা চালায়, যখন কংগ্রেস নির্বাচনের ফলাফলের অনুমোদনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ করছিল।
গত সপ্তাহে হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বামীর ওপর হাতুড়ি দিয়ে হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের নির্বাচন কারচুপির মিথ্যা দাবি ‘গত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি করেছে।’