ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অবৈধ ভাবে গোয়াইনঘাট নদীর পার থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন জুলাই অভ্যুত্থানে শাহবাগের সবচেয়ে বড় মিছিল ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের – বাকের সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবি থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১২৮ জন বহিষ্কার জাবির ৬ নং ছাত্র হল প্রশাসনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জবির দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করল ঢাবি কুবিতে নোয়াখালী ছাত্রকল্যাণ পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গফরগাঁয়ে মাটিকাটা নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত ১ একাত্তরে আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি -আমির ডা. তাহের নারায়ণগঞ্জে মাদক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা কেশবপুর খ্রিস্টান মিশন থেকে তিন পাহাড়ি মেয়েকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী 

জেলহত্যা দিবস নিয়ে দাবির বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্বান্ত

জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যে দাবি উঠেছে সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওই দিন তিনি তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন। অন্য দুটি দাবি হলো— ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা। কটা পরিবারকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে। ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা। এই হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২৩টি তাজা প্রাণে রক্তাক্ত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলার হত্যার যে রাজনীতি তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই (বিএনপি) বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে নেতাকর্মীদের হত্যাকারী। আমরা আজ এই কথা বলতে চাই— রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে আমাদের চেতনায় লালন করি, পালন করি, এজন্য আমাদেরকে বাংলার হত্যার রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সেই লড়াই আমাদের চলছে।

জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে দাবি করতেই পারে। এটা একটা বিষয় না। আসলে আমাদের এত দিবস, সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বিষয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ভাবে গোয়াইনঘাট নদীর পার থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন

জেলহত্যা দিবস নিয়ে দাবির বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্বান্ত

আপডেট সময় ১১:৩৬:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যে দাবি উঠেছে সেটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওই দিন তিনি তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন। অন্য দুটি দাবি হলো— ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনীসহ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক, সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেই ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুনিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা। কটা পরিবারকে নিঃসঙ্গ করে দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বিদেশে। ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা। এই হত্যার অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২৩টি তাজা প্রাণে রক্তাক্ত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলার হত্যার যে রাজনীতি তার প্রধান হোতা হচ্ছে বিএনপি। তারাই (বিএনপি) বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে নেতাকর্মীদের হত্যাকারী। আমরা আজ এই কথা বলতে চাই— রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে আমাদের চেতনায় লালন করি, পালন করি, এজন্য আমাদেরকে বাংলার হত্যার রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। সেই লড়াই আমাদের চলছে।

জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস করার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে দাবি করতেই পারে। এটা একটা বিষয় না। আসলে আমাদের এত দিবস, সেটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বিষয়।