হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপির ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত ঘেষা কমলপুর গ্রাম বেশ কিছু কারনে বিখ্যাত।এর মধ্যে একটি হলো ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত ঘেষা গ্রাম নিশানপুর গ্রাম যাদের সাথে কমলপুরের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে।সে অনেক ইতিহাস।দুই পাড়ের মানুষের সম্পর্কতে কোন দোষ আমরা দেখি না।তবে একে কাজে লাগাচ্ছে মাদকের ডনরা। ভারতে অবাধ মাদকের ব্রান্ডেড কালেকশন বাংলাদেশী মাদক ব্যবসায়ীদের টানে খুব বেশি।
কমলপুর-নিশানপুর মাদকের পাচারের রাজপথ বলা চলে।১০/১২ জন মাদক সম্রাট রয়েছে অত্র এলাকায় যা সবাই জানে।তবে নতুন নতুন নাম যোগ ও বিয়োগ ও হচ্ছে।এদের গ্রুপে রয়েছে ৫-২০ জন করে সদস্য।যাদের বয়স অনেকের ১৮ নিচে।কেউ সিএনজি/অটো/পিকাপ চালায়।এরা কেউ পতিতা ব্যবসা,ছিনতাই,চুরি,অপহরনের সাথে জড়িত। পুলিসের Central Dalabase দেখলেই দেখা যাবে এদের নামে রয়েছে একাধিক মামলাও।
এদের মোবাইলের বিকাশ কিংবা নগদের ক্রেজি লেনদেন দেখলেই প্রেরক প্রাপকের সন্ধান এর প্রমান মেলবে।এছাড়া ভারত থেকে অত্র এলাকায় কি পরিমান ব্লাক মানি প্রবেশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মারফত যোগাযোগ করলেও এর হদিস মেলবে মাদকসম্রাটদের অবৈধ সম্পদ ও কোটি কোটি টাকা লোকমুখে সবার জানা।
দুদক আইনে অবৈধ সম্পদ এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া নবদাবী। কিছুদিন আগে শুনলাম বিজিবির সীমান্তবর্তী ৩ কিমি তাদের এখতিয়ারাধীন তাই তারা নতুন একটা নিয়ম করেছে রাত ৮ টার পর সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে।আমরা বিস্মিত হয়েছি।পরে বুজলাম গুপ্ত রহস্য।
আসলে মালের চালান পাচ করার জন্যই এই নিয়ম কারন দোকান খোলা থাকলে কাস্টমার ভরপুর থাকে লাইট জালানো থাকে।চালান ডেলিভারিতে সমস্যা হয়।কমলপুরের শেষ সীমানা ভারতের পিলার ঘেষা বাড়িগুলার পাশের রাস্তা দেখলেই বুঝা কি পরিমান গাড়ির চাক্কার ছাপ!আমরা খেয়াল করি গভীর রাতের নির্দিষ্ট সময়ে কোন কারন ছাড়া পল্লি বিদ্যুৎ চলে যায় তখনি দেখা যায় শু শু করে সন্দেহজনক গাড়ী যাচ্ছে।
কতিপয় পুলিশ অফিসারের মারফত শুনলাম পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে যাদের নামে মাদক মামালা আছে ডাটাবেজ সার্চের মাধ্যমে তাদের ধরতে নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এর কোন অগ্রগতি দেখলাম না ।মাদক ব্যবসায়ী ও কতিপয় পুলিশ অফিসারদের একসাথে আড্ডা দিতে অনেকে দেখেছে।
Open Secret সাংবাদিকদের অদক্ষতা,অনাগ্রহ বা বিপদের চিন্তায় অনেক চিত্র ফুটে উঠে না তাও কম উঠে না।আইনজীবীরা মাদক মামলা ও জামিনে নজিরবিহীন প্রফিট করে থাকেন।আলেম ও শিক্ষিত সমাজ অজ্ঞতা ও ভয় রোগে আক্রান্ত।স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা ভোট কিংবা মাদকের Powerful Unity এর ছায়ার কারনে মুখ খুলেন না।নামমাত্র কিছু ছুইটকা মাদকসেবনকারীদের প্রসাশন ধরেন তাও।