ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পের ৪৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার ২ বছরের শিশু

তুরস্কের হাতেয় প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে দুই বছর বয়সী এক মেয়ে ও তার মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দল ভূমিকম্পের ৪৪ ঘণ্টা পর ধসে পড়া ভবনের কংক্রিট ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই বছর বয়সী ভাফে সাবা ও তার মা ইমেদ সাবাকে (৩৩) উদ্ধার করেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোকা বলেছেন, শুধুমাত্র হাতেয় প্রদেশেই এক হাজার ৬৪৭ জন নিহত হয়েছেন, যা তুরস্কের যেকোনো প্রদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়াও এক হাজার ৮৪৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

হাতেয় বিমানবন্দর ভূমিকস্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রদেশের বহু সড়ক ভেঙে গেছে। যার ফলে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতেয় প্রদেশ। ওই অঞ্চলের অনেক জায়গায় এখনো উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি। বলা হচ্ছে, এই প্রদেশের বেশিরভাগ ভবন ধসে গেছে। ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ এতই বেশি যে, উদ্ধারকারীরাও আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।

তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে।

তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে এই ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভূমিকম্পের ৪৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার ২ বছরের শিশু

আপডেট সময় ১২:৪৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্কের হাতেয় প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে দুই বছর বয়সী এক মেয়ে ও তার মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দল ভূমিকম্পের ৪৪ ঘণ্টা পর ধসে পড়া ভবনের কংক্রিট ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই বছর বয়সী ভাফে সাবা ও তার মা ইমেদ সাবাকে (৩৩) উদ্ধার করেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোকা বলেছেন, শুধুমাত্র হাতেয় প্রদেশেই এক হাজার ৬৪৭ জন নিহত হয়েছেন, যা তুরস্কের যেকোনো প্রদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়াও এক হাজার ৮৪৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

হাতেয় বিমানবন্দর ভূমিকস্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রদেশের বহু সড়ক ভেঙে গেছে। যার ফলে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতেয় প্রদেশ। ওই অঞ্চলের অনেক জায়গায় এখনো উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি। বলা হচ্ছে, এই প্রদেশের বেশিরভাগ ভবন ধসে গেছে। ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ এতই বেশি যে, উদ্ধারকারীরাও আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।

তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে।

তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে এই ভূমিকম্পে ২০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।