পৃথিবী থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত মঙ্গলগ্রহে পানির অস্তিত্ব খুঁজে পেতে সেখানে মার্স রিকনেসান্স অরবিটার নামের একটি মহাকাশ যান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
এই যানটিতে যুক্ত আছে হাইরাইজ নামের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা। এই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অদ্ভুত এক ছবি। যেটি দেখতে অনেকা ভাল্লুকের মতো। গত ডিসেম্বরে ছবিটি তোলা হয়। মঙ্গলপৃষ্ঠে তোলা ফাটলবেষ্টিত বৃত্তাকার গঠনটি দেখতে একটি মাথার মতো। এছাটা দুটি গর্তের দিকে তাকালে মনে হবে এগুলো চোখ। আর ভঙ্গুর একটি স্তম্ভ দেখতে নাকের মতো। খুব সম্ভবত এই স্তম্ভটি তৈরি হয়েছে আগ্নেয়গিরি অথবা কাঁদার মধ্যে ফাটল ধরার কারণে।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এ ক্যামেরাটি বল এরোস্পেসের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৫ জানুয়ারি অদ্ভুত এ ছবিটি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে নাসার মহাকাশ পর্যবেক্ষণ যান সূর্যের একটি ছবি প্রকাশ করে। ওই ছবি দেখলে মনে হবে যেন সূর্য হাসছে। মূলত সৌরমুকুটের ঘন কালো দুটি গর্তের কারণে এমনটি দেখা গিয়েছিল।
এছাড়া গত বছরের মার্চে মঙ্গলগ্রহে একটি কিউরিসিটি রোভার পাথরের একটি ছবি প্রকাশ করে। পাথরটির দিকে তাকালে মনে হবে এটি একটি ফুল।
হাইরাইজ নামক ক্যামেরাটি ২০০৬ সাল থেকে মঙ্গলগ্রহের বিভিন্ন ছবি তুলে সেগুলো পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে। ওই বছর মঙ্গলগ্রহ প্রদক্ষিণ শুরু করে মার্স রিকনেসান্স অরবিটার। এরসঙ্গে যুক্ত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরাটি মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি তোলার জন্য বানানো হয়। এটি ৩ মিটার ছোটো বস্তুরও ছবি তুলতে পারে।
এই অরবিটার দক্ষিণ মেরুর ১৬৯ মাইল উপর থেকে উত্তর মেরুর ২০০ সাইল উপর দিয়ে প্রতি ১১২ মিনিটে একবার মঙ্গলগ্রহ প্রদক্ষিণ করে। মহাকাশযানটিতে থাকা প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে নাসা মঙ্গলপৃষ্ঠ, সেখানকার আবহাওয়া এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো কিভাবে পরিবর্তিত হয় সে সম্পর্কে গবেষণা করে। এছাড়া মঙ্গলে পানি, বরফ, এবং পরবর্তী মিশনের জন্য জটিল ভূখণ্ডের খোঁজ করে থাকে। সম্প্রতি অরবিটার এমন একটি ছবি পাঠিয়েছে, যেটিতে পানিসদৃশ্য কিছু একটা ধরা পড়ে।