২০২২ সালে দেশজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও চোরাচালান উদ্ধারে পুলিশের সেরা ইউনিটকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র-চোরাই মাল উদ্ধারে সেরা চট্টগ্রাম, মাদক উদ্ধারে সেরা হয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের-২০২৩ তৃতীয় দিন রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মনোনীত ইউনিটের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। গত ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত অর্জনকে বিবেচনায় এনে মনোনীতদের পুরস্কৃত করা হয়।
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযান
‘ক’ গ্রুপে প্রথম চট্টগ্রাম জেলা, দ্বিতীয় পাবনা জেলা এবং তৃতীয় হয়েছে কুমিল্লা জেলা।
‘খ’ গ্রুপে প্রথম কক্সবাজার জেলা, দ্বিতীয় নরসিংদী জেলা এবং তৃতীয় যশোর জেলা।
‘গ’ গ্রুপে প্রথম এপিবিএন, দ্বিতীয় রাজবাড়ী জেলা এবং তৃতীয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা।
‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম র্যাব-১৫, কক্সবাজার, দ্বিতীয় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় র্যাব-৫, রাজশাহী।
‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম ডিবি, ডিএমপি, যৌথভাবে দ্বিতীয় রমনা বিভাগ ও মিরপুর বিভাগ, ডিএমপি এবং তৃতীয় হয়েছে ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি।
মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান
মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ‘ক’ গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কুমিল্লা, দ্বিতীয় চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় সিএমপি।
‘খ’ গ্রুপে প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দ্বিতীয় কক্সবাজার এবং তৃতীয় রাজশাহী।
‘গ’ গ্রুপে প্রথম লালমনিরহাট, দ্বিতীয় জয়পুরহাট এবং তৃতীয় গাজীপুর।
‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, দ্বিতীয় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং তৃতীয় র্যাব-১৫, কক্সবাজার।
‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম ডিবি, ডিএমপি, দ্বিতীয় ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি এবং তৃতীয় মিরপুর বিভাগ, ডিএমপি।
‘চ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে এপিবিএন, দ্বিতীয় রেলওয়ে পুলিশ এবং তৃতীয় হাইওয়ে পুলিশ।
চোরাচালান মালামাল উদ্ধার অভিযান
উদ্ধার অভিযানে ‘ক’ গ্রুপে চট্টগ্রাম প্রথম, সিএমপি দ্বিতীয় এবং কুমিল্লা তৃতীয় হয়েছে।
‘খ’ গ্রুপে প্রথম যশোর, দ্বিতীয় নেত্রকোনা এবং তৃতীয় সাতক্ষীরা।
‘গ’ গ্রুপে প্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দ্বিতীয় মেহেরপুর এবং তৃতীয় পঞ্চগড়।
‘ঘ’ গ্রুপে র্যাব-৯, সিলেট প্রথম, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম দ্বিতীয় এবং র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ তৃতীয়।
‘ঙ’ গ্রুপে মিরপুর বিভাগ, ডিএমপি প্রথম, ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি দ্বিতীয় এবং উত্তরা বিভাগ, ডিএমপি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
‘চ’ গ্রুপে এবিপিএন প্রথম, রেলওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় এবং হাইওয়ে পুলিশ তৃতীয় হয়েছে।
শিল্ড প্যারেড প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে যৌথ মেট্রো দল। দ্বিতীয় হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন । বার্ষিক পুলিশ প্যারেড কুচকাওয়াজে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এপিবিএন। দ্বিতীয় হয়েছে যৌথ মেট্রো দল এবং তৃতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।
পুরস্কার প্রদান শেষে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের পেশাগত উৎকর্ষতা দিন দিন বাড়ছে। পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশাও বেড়েছে। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্খিত সেবা পৌঁছে দিতে পুলিশ সদস্যদের সচেষ্ট থাকতে হবে। আর থানা হবে জনগণের সেবা প্রাপ্তির ভরসাস্থল।