ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ২৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জবি ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের নিমন্ত্রণ চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষে সাফল্য, লাভবান ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান ববি’র দর্শন বিভাগ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ইফতেখার, সেক্রেটারি পিয়াল যাকাতের ব্যাপারে মনের সংকীর্ণতা, অনীহা করলে বুঝতে হবে তাদের ভেতর শিরকের লক্ষণ আছে:-মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক জয়পুরহাট ক্ষেতলালে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২ অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুরে পুলিশ সুপারের সাথে পরিবহন মালিক সমিতির মতবিনিময় সভা পরিবার ছাড়া রমজান, কেমন কাটছে ববির শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন ৯ নাম্বার ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার মোহনগঞ্জে রাব্বী হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

শিশুর স্থূলতা হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের কারণ

শৈশবের দিকে শিশুর রক্তচাপ কম থাকে, যা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের সঙ্গে বাড়ে। শিশুর রক্তচাপ তার ওজনের সঙ্গে মিল রেখে বাড়তে থাকে। পাঁচ বছর বয়স থেকে এই মিল লক্ষ করা যায়। সাধারণভাবে ১ থেকে ৫ শতাংশ শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভোগে।

শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ধরন

প্রাইমারি হাইপারটেনশন : শিশুর জেনেটিক ও পরিবেশগত নানা ঝুঁকি মিলিয়ে এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে ১০ বছরের বেশি বয়সী স্থূলকার শিশুদের হয় এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক অবস্থায়ও বজায় থাকে।

সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন : শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপের সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে এবং তার চিকিৎসাও করানো যায়। এটির জন্য ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী অসুখ হলো কিডনি সংক্রমণ বা জটিলতা।

লক্ষণ : অতিরিক্ত কান্না, ওজন না বাড়া, ক্ষুধামান্দ্য, গায়ে অল্পস্বল্প জ্বর এসব নিয়ে দুই থেকে তিন বছরের শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে। আর বেশি বয়সী শিশুর কিডনিজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান উপসর্গগুলো হলো পেট ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, শরীরে পানি আসা ও রাতে বিছানায় প্রস্রাব।

অ্যামিনিয়া, খর্বাকৃতি ও শিশুর বাড়ন কম হওয়া ক্রনিক কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ।

কখনো বা বুক ধড়ফড়, মাথা ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম এবং ওজন পড়তে থাকা লক্ষণাদি নিয়ে স্নায়ু-অ্যান্ডোক্রাইম টিউমারজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রকাশ ঘটে।

চিকিৎসা : রক্তচাপ যদি শিশুর বয়স, লিঙ্গ ও উচ্চতা অনুযায়ী এক থেকে তিন সপ্তাহের বিরতিতে কমপক্ষে তিনবার রক্তচাপের চার্টে ৯৫তম সারণি রেখার ওপরে পাওয়া যায়, তবে শিশুর উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধরা হয়।

প্রাথমিকভাবে রক্ত, প্রস্রাব, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, চক্ষু পরীক্ষা ও কিডনির আলট্রাসাউন্ড করে দেখা হয়। পরে রোগের উপসর্গ অনুযায়ী উচ্চ রক্তচাপের কারণ নির্ণয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু ল্যাবরেটরি টেস্টের সাহায্য নিতে হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জবি ছাত্রশিবিরের ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের নিমন্ত্রণ

শিশুর স্থূলতা হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের কারণ

আপডেট সময় ১১:৩৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

শৈশবের দিকে শিশুর রক্তচাপ কম থাকে, যা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের সঙ্গে বাড়ে। শিশুর রক্তচাপ তার ওজনের সঙ্গে মিল রেখে বাড়তে থাকে। পাঁচ বছর বয়স থেকে এই মিল লক্ষ করা যায়। সাধারণভাবে ১ থেকে ৫ শতাংশ শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভোগে।

শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ধরন

প্রাইমারি হাইপারটেনশন : শিশুর জেনেটিক ও পরিবেশগত নানা ঝুঁকি মিলিয়ে এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে ১০ বছরের বেশি বয়সী স্থূলকার শিশুদের হয় এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক অবস্থায়ও বজায় থাকে।

সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন : শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপের সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে এবং তার চিকিৎসাও করানো যায়। এটির জন্য ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী অসুখ হলো কিডনি সংক্রমণ বা জটিলতা।

লক্ষণ : অতিরিক্ত কান্না, ওজন না বাড়া, ক্ষুধামান্দ্য, গায়ে অল্পস্বল্প জ্বর এসব নিয়ে দুই থেকে তিন বছরের শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে। আর বেশি বয়সী শিশুর কিডনিজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান উপসর্গগুলো হলো পেট ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, শরীরে পানি আসা ও রাতে বিছানায় প্রস্রাব।

অ্যামিনিয়া, খর্বাকৃতি ও শিশুর বাড়ন কম হওয়া ক্রনিক কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ।

কখনো বা বুক ধড়ফড়, মাথা ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম এবং ওজন পড়তে থাকা লক্ষণাদি নিয়ে স্নায়ু-অ্যান্ডোক্রাইম টিউমারজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রকাশ ঘটে।

চিকিৎসা : রক্তচাপ যদি শিশুর বয়স, লিঙ্গ ও উচ্চতা অনুযায়ী এক থেকে তিন সপ্তাহের বিরতিতে কমপক্ষে তিনবার রক্তচাপের চার্টে ৯৫তম সারণি রেখার ওপরে পাওয়া যায়, তবে শিশুর উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধরা হয়।

প্রাথমিকভাবে রক্ত, প্রস্রাব, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, চক্ষু পরীক্ষা ও কিডনির আলট্রাসাউন্ড করে দেখা হয়। পরে রোগের উপসর্গ অনুযায়ী উচ্চ রক্তচাপের কারণ নির্ণয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু ল্যাবরেটরি টেস্টের সাহায্য নিতে হয়।