ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

শিশুর স্থূলতা হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের কারণ

শৈশবের দিকে শিশুর রক্তচাপ কম থাকে, যা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের সঙ্গে বাড়ে। শিশুর রক্তচাপ তার ওজনের সঙ্গে মিল রেখে বাড়তে থাকে। পাঁচ বছর বয়স থেকে এই মিল লক্ষ করা যায়। সাধারণভাবে ১ থেকে ৫ শতাংশ শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভোগে।

শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ধরন

প্রাইমারি হাইপারটেনশন : শিশুর জেনেটিক ও পরিবেশগত নানা ঝুঁকি মিলিয়ে এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে ১০ বছরের বেশি বয়সী স্থূলকার শিশুদের হয় এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক অবস্থায়ও বজায় থাকে।

সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন : শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপের সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে এবং তার চিকিৎসাও করানো যায়। এটির জন্য ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী অসুখ হলো কিডনি সংক্রমণ বা জটিলতা।

লক্ষণ : অতিরিক্ত কান্না, ওজন না বাড়া, ক্ষুধামান্দ্য, গায়ে অল্পস্বল্প জ্বর এসব নিয়ে দুই থেকে তিন বছরের শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে। আর বেশি বয়সী শিশুর কিডনিজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান উপসর্গগুলো হলো পেট ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, শরীরে পানি আসা ও রাতে বিছানায় প্রস্রাব।

অ্যামিনিয়া, খর্বাকৃতি ও শিশুর বাড়ন কম হওয়া ক্রনিক কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ।

কখনো বা বুক ধড়ফড়, মাথা ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম এবং ওজন পড়তে থাকা লক্ষণাদি নিয়ে স্নায়ু-অ্যান্ডোক্রাইম টিউমারজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রকাশ ঘটে।

চিকিৎসা : রক্তচাপ যদি শিশুর বয়স, লিঙ্গ ও উচ্চতা অনুযায়ী এক থেকে তিন সপ্তাহের বিরতিতে কমপক্ষে তিনবার রক্তচাপের চার্টে ৯৫তম সারণি রেখার ওপরে পাওয়া যায়, তবে শিশুর উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধরা হয়।

প্রাথমিকভাবে রক্ত, প্রস্রাব, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, চক্ষু পরীক্ষা ও কিডনির আলট্রাসাউন্ড করে দেখা হয়। পরে রোগের উপসর্গ অনুযায়ী উচ্চ রক্তচাপের কারণ নির্ণয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু ল্যাবরেটরি টেস্টের সাহায্য নিতে হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

শিশুর স্থূলতা হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের কারণ

আপডেট সময় ১১:৩৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

শৈশবের দিকে শিশুর রক্তচাপ কম থাকে, যা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের সঙ্গে বাড়ে। শিশুর রক্তচাপ তার ওজনের সঙ্গে মিল রেখে বাড়তে থাকে। পাঁচ বছর বয়স থেকে এই মিল লক্ষ করা যায়। সাধারণভাবে ১ থেকে ৫ শতাংশ শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভোগে।

শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ধরন

প্রাইমারি হাইপারটেনশন : শিশুর জেনেটিক ও পরিবেশগত নানা ঝুঁকি মিলিয়ে এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে ১০ বছরের বেশি বয়সী স্থূলকার শিশুদের হয় এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ বয়স্ক অবস্থায়ও বজায় থাকে।

সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন : শিশু বয়সে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ এটি। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপের সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে এবং তার চিকিৎসাও করানো যায়। এটির জন্য ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী অসুখ হলো কিডনি সংক্রমণ বা জটিলতা।

লক্ষণ : অতিরিক্ত কান্না, ওজন না বাড়া, ক্ষুধামান্দ্য, গায়ে অল্পস্বল্প জ্বর এসব নিয়ে দুই থেকে তিন বছরের শিশু উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে পারে। আর বেশি বয়সী শিশুর কিডনিজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রধান উপসর্গগুলো হলো পেট ব্যথা, প্রস্রাবে রক্ত, শরীরে পানি আসা ও রাতে বিছানায় প্রস্রাব।

অ্যামিনিয়া, খর্বাকৃতি ও শিশুর বাড়ন কম হওয়া ক্রনিক কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ।

কখনো বা বুক ধড়ফড়, মাথা ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম এবং ওজন পড়তে থাকা লক্ষণাদি নিয়ে স্নায়ু-অ্যান্ডোক্রাইম টিউমারজনিত কারণে উচ্চ রক্তচাপের প্রকাশ ঘটে।

চিকিৎসা : রক্তচাপ যদি শিশুর বয়স, লিঙ্গ ও উচ্চতা অনুযায়ী এক থেকে তিন সপ্তাহের বিরতিতে কমপক্ষে তিনবার রক্তচাপের চার্টে ৯৫তম সারণি রেখার ওপরে পাওয়া যায়, তবে শিশুর উচ্চ রক্তচাপ আছে বলে ধরা হয়।

প্রাথমিকভাবে রক্ত, প্রস্রাব, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, চক্ষু পরীক্ষা ও কিডনির আলট্রাসাউন্ড করে দেখা হয়। পরে রোগের উপসর্গ অনুযায়ী উচ্চ রক্তচাপের কারণ নির্ণয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু ল্যাবরেটরি টেস্টের সাহায্য নিতে হয়।