ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা লালমনিরহাটে কলা চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। গরু চুরি করে ভূরিভোজন মাদারগঞ্জে সেই দম্পতিসহ তিনজনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার মাধবপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিলন মেলা ও আলোচনা সভা ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ। ৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে : গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন ভোলা জেলার উন্নয়ন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা হবে : আমিনুল হক মহিলালীগ নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও এনজিওকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি

রেজাল্টের পরও মিষ্টি বিক্রির ধুম নেই, হতাশ দোকানিরা

‘এখন আর আগের মতো রেজাল্টের আমেজ নেই৷ করোনার পরে সবকিছুই পাল্টে গেছে। আগে রেজাল্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাত পর্যন্ত মিষ্টির দোকানে ভিড় লেগে থাকত। অভিভাবকরা হাসিমুখে এসে কেজি কেজি মিষ্টি নিয়ে যেত। আমরাও আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বেশি করে মিষ্টি বানাতাম। এখন আর তার ছিটেফোঁটাও নেই। রেজাল্টকে ঘিরে যে উৎসবের আমেজ তৈরি হতো সেটি হারিয়ে গেছে বললেও ভুল হবে না।’—এভাবেই বলছিলেন রাজধানীর ধানমন্ডির বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ক্যাশিয়ার আব্দুস সালাম।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মিষ্টি বিক্রির ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, মনটাই খারাপ হয়ে গেছে। অন্যান্য দিনের মতোই মিষ্টি বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে। কয়েকবছর আগে রেজাল্ট ভালো হলে মিষ্টিমুখ করানোর জন্য যে উৎসবের আমেজ তৈরি হতো সেটি নেই।

dhakapost

এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের পর মিষ্টির বিক্রি বেড়েছে কী না? জানতে চাইলে যাদব ঘোষ অ্যান্ড সন্স মিষ্টি দোকানের
বিক্রেতা সুমন বলেন, বিক্রি বাড়েনি বরং অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের বিক্রির পরিমাণ কম। সবচেয়ে বড় কথা হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কারণে মানুষ মিষ্টি কেনা কমিয়ে দিয়েছে। সব উপকরণের দামই বেশি। যে কারণে মিষ্টি ও মিষ্টিজাত পণ্যের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি বাড়াতে হয়েছে। আমার দোকানে সর্বনিম্ন মিষ্টির কেজি শুরু হয়েছে ২৮০ টাকায়। এত টাকা দিয়ে মিষ্টি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য এখন অনেক মানুষেরই নেই।

প্রসঙ্গত,  আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসির ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী  ফল ঘোষণা করেন। এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। সাধারণ নয়টি বোর্ডে পাসের হার ৮৮.১০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন।

দাখিলে পাসের হার ৮২.২২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ জন। কারিগরিতে পাসের হার ৮৯.৫৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮  হাজার ৬৫৫ জন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা

রেজাল্টের পরও মিষ্টি বিক্রির ধুম নেই, হতাশ দোকানিরা

আপডেট সময় ০৭:১২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

‘এখন আর আগের মতো রেজাল্টের আমেজ নেই৷ করোনার পরে সবকিছুই পাল্টে গেছে। আগে রেজাল্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাত পর্যন্ত মিষ্টির দোকানে ভিড় লেগে থাকত। অভিভাবকরা হাসিমুখে এসে কেজি কেজি মিষ্টি নিয়ে যেত। আমরাও আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বেশি করে মিষ্টি বানাতাম। এখন আর তার ছিটেফোঁটাও নেই। রেজাল্টকে ঘিরে যে উৎসবের আমেজ তৈরি হতো সেটি হারিয়ে গেছে বললেও ভুল হবে না।’—এভাবেই বলছিলেন রাজধানীর ধানমন্ডির বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ক্যাশিয়ার আব্দুস সালাম।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মিষ্টি বিক্রির ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, মনটাই খারাপ হয়ে গেছে। অন্যান্য দিনের মতোই মিষ্টি বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে। কয়েকবছর আগে রেজাল্ট ভালো হলে মিষ্টিমুখ করানোর জন্য যে উৎসবের আমেজ তৈরি হতো সেটি নেই।

dhakapost

এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের পর মিষ্টির বিক্রি বেড়েছে কী না? জানতে চাইলে যাদব ঘোষ অ্যান্ড সন্স মিষ্টি দোকানের
বিক্রেতা সুমন বলেন, বিক্রি বাড়েনি বরং অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের বিক্রির পরিমাণ কম। সবচেয়ে বড় কথা হলো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কারণে মানুষ মিষ্টি কেনা কমিয়ে দিয়েছে। সব উপকরণের দামই বেশি। যে কারণে মিষ্টি ও মিষ্টিজাত পণ্যের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি বাড়াতে হয়েছে। আমার দোকানে সর্বনিম্ন মিষ্টির কেজি শুরু হয়েছে ২৮০ টাকায়। এত টাকা দিয়ে মিষ্টি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য এখন অনেক মানুষেরই নেই।

প্রসঙ্গত,  আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসির ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী  ফল ঘোষণা করেন। এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। সাধারণ নয়টি বোর্ডে পাসের হার ৮৮.১০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬৩ জন।

দাখিলে পাসের হার ৮২.২২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ জন। কারিগরিতে পাসের হার ৮৯.৫৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮  হাজার ৬৫৫ জন।