ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি যবিপ্রবির সামাজিক ক্লাব কতৃক -কোয়ান্টাম সাইন্স ফেস্ট -২০২৫ আয়োজন। পবিপ্রবিতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণে জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থায়ন বিষয়ক কর্মশালা বকশীগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের! সাংবা‌দিক ও সাহি‌ত্যিক ইমতিয়াজ আহমেদ এর তৃতীয় গল্পগ্রন্থ ‘অসমাপ্ত রাতের ছায়া’ থাক‌ছে বইমেলায় রামপালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারুণ্যে মেলা অনুষ্ঠিত জুলাই -আগস্ট বিপ্লবে আহত ও শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুলনা কেএমপি নগরীতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের লিডারসহ গ্রেফতার -২ বকশীগঞ্জে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার-২ মির্জাপুর সরকারি এস কে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠান- ২০২৫ সম্পৃর্ন

পাংশায় আখের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত চাষিরা।

  • শরিফুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০১:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে

ঋতু পরিবর্তনের শুরুতেই বেড়েছে শীতের আমেজ সেইসাথে শীত এলেই শুরু হয়ে যায় পিঠা-পুলির মহোৎসব পিঠা উৎসবে আখের গুড়ের যেন জুড়ি নেই, আর আখের রস থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু গুড় ইতিমধ্যেই গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আখ চাষীরা। এ এলাকায় আখ চাষের মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আখ চাষ করেছেন চাষিরা। শীতের মৌসুমের শুরু থেকেই সংরক্ষিত আখ মাড়াই ও গুড় তৈরির কাজ শুরু করেন চাষীরা। আখ চাষে লোকসান নয় মুনাফার মাত্রাটাই বেশি থাকে আর তাই পাংশা উপজেলার চরাঞ্চলের চাষীরা আখ চাষ করে থাকেন। তবে এবার আর মুনাফার আশা করছেন না চাষিরা। তারা বলছেন এবছর বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের এবং অন্য বছরের তুলনায় এবছর তেল ও চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভের আশা করা যাচ্ছে না।

উপজেলায় এবছর ৫শত ৫০ হেক্টর জমিতে রঙ বিলাস, তলা বিলাস, পঞ্চান্ন, হুলিয়া যাবা সহ ৫/৭ প্রজাতির আখ চাষ হয়েছে। পৌষ-মাঘ মাসে আখ থেকে ভালো রস পাওয়া যায় এ সময় গুর উৎপাদন হয় ভালো তাই পৌষের শুরুতেই আখের গুড় তৈরির হিড়িক পড়ে যায়।

আখ চাষী মোঃ লতিফ মোল্লা বলেন প্রথমত বন্যায় জমি ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এবং বন্যার কারণে ফলন ভালো না হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। তারপরে এবছর তেলের দাম বৃদ্ধি যেহেতু আমরা মেশিনে আখ মাড়াই করে থাকি এবং শ্রমের দাম বৃদ্ধি সহ চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার আখ চাষে লোকসান হবে আমাদের।

পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অন্যান্য বছর কৃষক প্রতি শতাংশে দুই থেকে আড়াই মন গুড় ঘরে তুলতো। কিন্তু এবার বন্যার কারণে আখের ফলন ভালো হয়নি। ফলে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে আমাদের কাছে কৃষকরা যখনই যেকোনো পরামর্শের জন্য এসেছে আমরা তাদেরকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি

পাংশায় আখের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত চাষিরা।

আপডেট সময় ০১:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

ঋতু পরিবর্তনের শুরুতেই বেড়েছে শীতের আমেজ সেইসাথে শীত এলেই শুরু হয়ে যায় পিঠা-পুলির মহোৎসব পিঠা উৎসবে আখের গুড়ের যেন জুড়ি নেই, আর আখের রস থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু গুড় ইতিমধ্যেই গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আখ চাষীরা। এ এলাকায় আখ চাষের মাটি ও আবহাওয়া বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আখ চাষ করেছেন চাষিরা। শীতের মৌসুমের শুরু থেকেই সংরক্ষিত আখ মাড়াই ও গুড় তৈরির কাজ শুরু করেন চাষীরা। আখ চাষে লোকসান নয় মুনাফার মাত্রাটাই বেশি থাকে আর তাই পাংশা উপজেলার চরাঞ্চলের চাষীরা আখ চাষ করে থাকেন। তবে এবার আর মুনাফার আশা করছেন না চাষিরা। তারা বলছেন এবছর বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে আমাদের এবং অন্য বছরের তুলনায় এবছর তেল ও চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তেমন লাভের আশা করা যাচ্ছে না।

উপজেলায় এবছর ৫শত ৫০ হেক্টর জমিতে রঙ বিলাস, তলা বিলাস, পঞ্চান্ন, হুলিয়া যাবা সহ ৫/৭ প্রজাতির আখ চাষ হয়েছে। পৌষ-মাঘ মাসে আখ থেকে ভালো রস পাওয়া যায় এ সময় গুর উৎপাদন হয় ভালো তাই পৌষের শুরুতেই আখের গুড় তৈরির হিড়িক পড়ে যায়।

আখ চাষী মোঃ লতিফ মোল্লা বলেন প্রথমত বন্যায় জমি ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় এবং বন্যার কারণে ফলন ভালো না হওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। তারপরে এবছর তেলের দাম বৃদ্ধি যেহেতু আমরা মেশিনে আখ মাড়াই করে থাকি এবং শ্রমের দাম বৃদ্ধি সহ চাষাবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার আখ চাষে লোকসান হবে আমাদের।

পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অন্যান্য বছর কৃষক প্রতি শতাংশে দুই থেকে আড়াই মন গুড় ঘরে তুলতো। কিন্তু এবার বন্যার কারণে আখের ফলন ভালো হয়নি। ফলে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে আমাদের কাছে কৃষকরা যখনই যেকোনো পরামর্শের জন্য এসেছে আমরা তাদেরকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছি।