কুমিল্লা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ বীরের উদ্যোগ মুক্তিযোদ্ধা কর্পোরাল আবুল কাশেমের পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে। কর্পোরাল কাশেম, ১১ ইস্ট বেঙ্গলের গর্বিত সদস্য, সেক্টর-২-এর অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অস্ত্র প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বহু সেনা কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষিত করেন। ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় কর্পোরাল কাশেমের নাতি, অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ইয়াসিনের ছেলে ইফাত গুরুতর আহত হন। ঢাকায় অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। যদিও এখন তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। দীর্ঘ তদন্তের পর, ঘটনার প্রায় তিন মাস পর ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাতে ২৩ বীরের সফল অভিযানে হামলায় জড়িত তিন অপরাধী হলো- লিটন, মারুফ ও জাহাঙ্গীর হোসেন কে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে, মূল অভিযুক্ত মো. জাবেদ সামির এবং তার মামা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ইয়াসিন, ৯ বীরের একজন সদস্য, তার পরিবারের ওপর এই আঘাতে বিচারের আবেদন জানান। ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি তার ছেলের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কুমিল্লা সিএমএইচ কে নির্দেশনা দেন। ২৩ বীরের সাহসী পদক্ষেপ এবং তাদের সময়োচিত উদ্যোগ জাতির প্রতি সেনাবাহিনীর দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল উদাহরণ। সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের প্রতি জাতির ঋণ শোধের পথে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সংবাদ শিরোনাম ::
চৌদ্দগ্রাম সেনা ক্যাম্পের সাহসী পদক্ষেপ: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে ২৩ বীর
- মোঃ মাহফুজ আনোয়ার
- আপডেট সময় ০৬:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
- ৫০৪ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ