ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা, নারীসহ আহত ৪ জন উত্তর মানিক নগরে কাটা হলো অবৈধ গ্যাস সংযোগ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চিনাইল পাগলের মেলায় মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ তাবলীগের তা’লীম বন্ধ, ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ চৌদ্দগ্রাম সেনা ক্যাম্পের সাহসী পদক্ষেপ: মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে ২৩ বীর বিষবৃক্ষ তামাক চাষের কবলে লালমনিরহাটের ফসলি জমি নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুয়া চক্ষু চিকিৎসক গ্রেফতার; জেল, জরিমানা আর্ত মানবতার সেবায় বিএনপি : বিনা খরচে তারা পেলেন চোখের চিকিৎসা। নাটোরে লালপুর মোটরসাইকেল ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ বন্ধুর মৃত্যু  কমলনগরে ১নং চর কালকিনি ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছেন।

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।।

  • একরামুল হক
  • আপডেট সময় ০৩:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট জেলায় ঘন কুয়াশায় মানুষের বেড়েছে দুর্ভোগ। শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক লোকজন । কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। ফলে রাতের পাশাপাশি দিনভর অনুভূত হয় শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিপাকে পড়েছে নদীপাড় ও চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। এ ছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এদিকে গতকাল সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি লালমনিরহাটে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে আছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন লালমনিরহাটের মানুষ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে কষ্টে পড়েছে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখিরাও। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন।

এ দিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে দিন ও রাতে সমান শীত অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ।

তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা রহিমা বেগম (৫৫) বলেন, ‘ঠান্ডায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে কষ্ট হয়। রাতে শীতের তীব্রতায় কষ্ট বেড়েছে, সকালে কুয়াশার কারণে এ কষ্ট তীব্র হয়েছে।

রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১ মাস ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, ঠান্ডার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে আমাদের।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা, নারীসহ আহত ৪ জন

লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।।

আপডেট সময় ০৩:১৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

লালমনিরহাট জেলায় ঘন কুয়াশায় মানুষের বেড়েছে দুর্ভোগ। শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক লোকজন । কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারদিক। ফলে রাতের পাশাপাশি দিনভর অনুভূত হয় শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিপাকে পড়েছে নদীপাড় ও চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। এ ছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ার তথ্যটি জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া অফিস। এদিকে গতকাল সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি লালমনিরহাটে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে আছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন লালমনিরহাটের মানুষ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে কষ্টে পড়েছে মানুষসহ গৃহপালিত পশুপাখিরাও। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন।

এ দিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে দিন ও রাতে সমান শীত অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ।

তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা রহিমা বেগম (৫৫) বলেন, ‘ঠান্ডায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে কষ্ট হয়। রাতে শীতের তীব্রতায় কষ্ট বেড়েছে, সকালে কুয়াশার কারণে এ কষ্ট তীব্র হয়েছে।

রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১ মাস ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার বলেন, ঠান্ডার কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চলমান রয়েছে আমাদের।