১১ জানুয়ারী শনিবার সকাল ৯.০০ ঘটিকায় ন্যাশনাল আর্কাইভস অধিদপ্তর, আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা, মিলনায়তনে ছওয়াবের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান ও স্বেচ্ছাসেবী সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছওয়াব ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ করে সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত এবং আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে নানাবিধ সহযোগিতা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এসব স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য দেশব্যাপী ছওয়াবের রয়েছে এক হাজারের অধিক সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবী টিম।
ছওয়াবের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুজ্জামান
এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বোরহান উদ্দিনের উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল হোসেন।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবা স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রমে সর্বস্তরের জনগনের অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করে। সমাজ ও দেশের স্বার্থে স্বেচ্ছাসেবকগণ যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় দ্রুত সাড়াদানকারী হিসেবে থাকেন। এখানে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের বলতে চাই বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই মানবিক উন্নয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তোমাদের অবদান অনস্বীকার্য।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, সাবেক ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি বলেন, পরোপকারের মনোভাব নিয়ে নিজের জন্য আবশ্যক নয় এমন কাজ করার নামই স্বেচ্ছাসেবা। স্বেচ্ছাসেবক কোনো আর্থিক বা সামাজিক স্বার্থের জন্য কাজ করে না, স্বার্থহীন মানবসেবাই এখানে মুখ্য। একজন বিশ্বাসী স্বেচ্ছাসেবকের আসল লক্ষ্য থাকে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কোরআন-হাদিসে স্বেচ্ছাশ্রমের ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়েছে। কোরআনে স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব বোঝাতে এটিকে নিজের জন্যই কল্যাণকর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এমর্মে আল্লাহ তাআলা সুরা আল বাকারার ১৮৪ নং আয়াতে বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর।’ স্বেচ্ছাসেবা ও মানুষের উপকার করা মুমিনের অন্যতম গুণ। ঈমানের পাশাপাশি মানবসেবায় ব্রতী হওয়াও সৎকর্মের অর্ন্তভুক্ত।
উক্ত সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে ছওয়াব চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুজ্জামান বলেন, ছওয়াব ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় এবং উর্ধ্বতন পর্যায়ের প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করার সুনাম রয়েছে; যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশলী এম আব্দুল আউয়াল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লি:: অধ্যাপক আ.ন.ম রশীদ আহমাদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইসলামিক ডিভিশন, এটিএন বাংলা এবং আরিয়ান মোহাম্মদ আরিফ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। বিশেষ অতিথি ও কো-স্পন্সর হিসেবে ছিলেন যথাক্রমে- নাজমুল হক শ্যামল, মিডিয়া এন্ড প্রেস কো-অর্ডিনেটর এবং শফিকুল ইসলাম, প্রোপাইটর, আর এস পজেটিভ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ছওয়াবের ডিরেক্টর মোহাম্মদ আফতাবুজ্জামান; জেনারেল ম্যানেজার লোকমান হোসাইন তালুকদার এবং ছওয়াবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
সম্মেলনে সন্দিপন শিল্পীগোষ্ঠির উপস্থাপনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।