ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান মন্টু ওরফে মন্টু মাস্টারকে শনিবার সকালে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এতে তার একটি পা ভেঙে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্টু মাস্টার উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ-সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারার চাচাতো ভাই। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মন্টু মাস্টার আত্মগোপনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শনিবার উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে পেয়ে আটকে রাখেন।

এ সময় তাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ সময় তার হাত ও পা থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি এখনো শুনিনি। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কারা মেরেছে এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দারা তিনবার সংসদ-সদস্য ছিলেন। তখন পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ছিল মন্টুর বিরুদ্ধে। দারার হয়ে তিনিই সবকিছু দেখাশোনা করতেন। ব্যাপক চাঁদাবাজিরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আ.লীগ নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পিটুনি

আপডেট সময় ০৯:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান মন্টু ওরফে মন্টু মাস্টারকে শনিবার সকালে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এতে তার একটি পা ভেঙে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্টু মাস্টার উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ-সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারার চাচাতো ভাই। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মন্টু মাস্টার আত্মগোপনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শনিবার উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে পেয়ে আটকে রাখেন।

এ সময় তাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ সময় তার হাত ও পা থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি এখনো শুনিনি। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। কারা মেরেছে এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দারা তিনবার সংসদ-সদস্য ছিলেন। তখন পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ছিল মন্টুর বিরুদ্ধে। দারার হয়ে তিনিই সবকিছু দেখাশোনা করতেন। ব্যাপক চাঁদাবাজিরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।